দুই উপদেষ্টাকে পদত্যাগে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গণঅধিকার পরিষদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৮ই মার্চ ২০২৫ ০৫:২৮ অপরাহ্ন
দুই উপদেষ্টাকে পদত্যাগে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গণঅধিকার পরিষদের

গণঅধিকার পরিষদ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সরকারে থাকা ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।


গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘যদি দুই ছাত্র উপদেষ্টা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করেন, তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবন যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নতুন দল গঠিত হয়েছে, তাই ছাত্ররা উপদেষ্টা পদে থাকতে পারেন না। সরকার এই দলকে পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, নগ্ন পক্ষপাতিত্ব করেছে। এই সরকারের কাছ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না।’’


ফারুক হাসান তার বক্তব্যে আরও বলেন, সরকার নিজেদের অংশ হওয়া সত্ত্বেও তাদের পক্ষ থেকে দল গঠন প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত হওয়া এবং এর মাধ্যমে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার মতে, এইভাবে ছাত্র উপদেষ্টারা সরকারের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করছে।


সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা আরও অভিযোগ করেন যে, আওয়ামী লীগের বিচার বা নিষিদ্ধ না করে সরকার সেসব নেতাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। তারা দাবি করেন, সরকার বর্তমানে আওয়ামী লীগের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করছে এবং তাদের পেছন থেকে সহায়তা দিচ্ছে, যা দেশের রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।


এছাড়া, গণঅধিকার পরিষদ নেতারা সরকারের উপদেষ্টা, সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন ওয়াসা, নিয়োগে তদবিরের অভিযোগ তোলেন। তারা বলেন, ‘‘এমন নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের নামে কেউ যাতে সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা উচিত।’’


গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে এসময় আরও জানানো হয় যে, সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে যদি তাদের দাবি মানা না হয়। সংগঠনের নেতারা দেশের জনগণের স্বার্থে রাজনীতি থেকে পক্ষপাতিত্বমুক্ত সরকারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানান।


গণঅধিকার পরিষদের এই দাবির ফলে রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।