প্রকাশ: ৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:০
এর পেছনে রয়েছে বহুদিনের ষড়যন্ত্র, বহু রাতের আঁধারে চলা গোপন আঁতাত। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরই শুরু সেই অধ্যায়—অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক, নানা রকম ছক আঁকা, সংবিধান মেনে শপথ নেওয়া একটি সরকারকে উৎখাতের নীলনকশা।
প্রথমে ইউনূসকে জঙ্গি, মৌলবাদী আখ্যা দেওয়া হলো। তারপর গরু ছাগলের মতো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হিন্দু নির্যাতনের মিথ্যা গল্প সাজানো হলো। কোটি কোটি ডলার খরচ করে মিথ্যাচারের বেসাতি গড়ে তোলা হলো। বিদেশি লবিস্টদের দিয়ে তৈরি হলো বিকৃত বাস্তবতা।
ফেনীর পানিতে ডুবিয়ে দেওয়ার মতো অপচেষ্টা, খুনের রাজনীতি—সবই ছিলো সেই চক্রান্তের অংশ। আলিফের রক্ত এই ষড়যন্ত্রেরই গাঢ়তম প্রমাণ। চিন্ময় কৃষ্ণদের দিয়ে নেপথ্যে খেলা চালানো হয়েছে, যেখানে ময়ুখ থেকে শুরু করে রয়টার্স পর্যন্ত কেউই নিরপেক্ষ থাকতে পারেনি।
তুলসী গ্যাবার্ডের মুখ দিয়ে বিবৃতি আদায় করা, সীমান্তে হুমকি, খুন—আরও কত কী! ভিসা বন্ধ, পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে ভেবেছিলো, এবার বুঝি থামানো যাবে।
কিন্তু, কিছুতেই কিছু হয়নি।
বরং মোদির প্রতিটি চাল বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে এই মানুষটির সততা, সাহস আর দূরদর্শিতার কাছে।
আজ মোদির মুখে হাসি থাকলেও, তার বডি ল্যাংগুয়েজে লুকানো সেই ব্যর্থতার ছাপ স্পষ্ট।
যে ইউনূসের পতন দেখতে দেখতে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠতেন তিনি, সেই ইউনূসকেই শেষ পর্যন্ত সরাতে পারলেন না।
ভদ্রতার মুখোশের আড়ালে লুকানো ছিল পরাজয়ের গ্লানি। এই সাত মাসের চেষ্টার নিষ্ফলতার ছায়া কি মোদির চোখে-মুখে ধরা পড়েনি?