রাজধানীর আদাবর থানার গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় রবিবার সকালে আদালতে ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনজনকে আদালতে হাজির করা হলে শাহজাহান ওমর সাংবাদিকদের ছবি তোলায় আপত্তি জানিয়ে বলেন, "এই ফটো তোলোস কেন?" তবে পরে তিনি মুচকি হেসে জানান, "তোমাদের কাজই তো ছবি তোলা, আমাদের আপত্তি নেই।" শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তাদের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
শাহজাহান ওমর আদালতে কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ছিলেন নীরব। আছাদুজ্জামান মিয়া কিছুক্ষণ আইনজীবীর সঙ্গে কথা বললেও মামুন ছিলেন চুপচাপ। আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে সময় কাটান শাহজাহান ওমর, জানতে চান তিনি এজাহারনামীয় আসামি কি না।
গত বছরের ২১ নভেম্বর কাঠালিয়া থানার একটি মামলায় শাহজাহান ওমরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের একজন এবং বিভিন্ন সময় সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৯ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং পরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় তিনি গ্রেফতার হন। তবে ২৯ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পরদিন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন এবং পরদিন রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। এতে শাহজাহান ওমর সংসদ সদস্য পদ হারান।
এদিকে আদালতে গ্রেফতার দেখানোর আদেশের পর আইনজীবী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, এ মামলার তদন্ত চলছে এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ শিগগিরই নির্ধারণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।