স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে হওয়া সব ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশের স্বার্থ সুরক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং অতীতে করা যেকোনো অসম চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা বিষয়েও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি আরও জানান, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, চোরাচালান রোধ এবং অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে বলে জানা গেছে। সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উভয় দেশের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সীমান্তে গুলি চালানোর ঘটনা বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে মাদক ও মানব পাচার রোধে দুই দেশ আরও সমন্বিতভাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, সরকার চায় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হোক, তবে তা অবশ্যই ন্যায়সঙ্গত ও সমতার ভিত্তিতে হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থ রক্ষা করা। জনগণের স্বার্থের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এবং অতীতের সব ধরনের অসম চুক্তি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীমান্ত সমস্যা সমাধানে দুই দেশের যৌথ সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সীমান্ত সম্মেলনে উভয় দেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা, অনুপ্রবেশ রোধ, অবৈধ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ এবং যৌথ টহল ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা। এসব বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চুক্তিগুলোর বিষয়েও আলোচনা চলবে এবং জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়ানো হবে। উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।