জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে সেই আসনের ভোট বাতিল বা পুনরায় নির্বাচন করার প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের মতে, একটি নির্দিষ্ট মাত্রার ভোটারের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গণতান্ত্রিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন বলেছেন, যেখানে নির্দিষ্ট মাত্রার ভোটারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে না, সেখানে পুনরায় ভোট করার বিধান রাখা হবে। এছাড়া 'না ভোট' বিজয়ী হলে সেই আসনেও পুনরায় নির্বাচন করা হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থায় শক্তিশালী ইসিকে প্রাধান্য দিয়ে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা এবং আদালতের হস্তক্ষেপ বন্ধের বিষয়েও প্রস্তাব আনা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ভোটারদের ভোটে আগ্রহী করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার জন্য ইলেক্টোরাল কলেজের মাধ্যমে ভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে স্থানীয় সরকার কাঠামোর জনপ্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এছাড়া সংসদে দ্বিকক্ষ ব্যবস্থা (উচ্চকক্ষ) চালু করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
কমিশনের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি সাদিক আরমান জানান, ভোট বাতিলের শর্ত হিসেবে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের কম ভোটার উপস্থিতির প্রস্তাব থাকছে। এতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর পাশাপাশি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের হাতে থাকবে।
গত কয়েকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটার উপস্থিতি এবং ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্কিত ছিল। তাই আগামী নির্বাচনগুলোকে প্রশ্নমুক্ত করার জন্য কমিশন এ উদ্যোগ নিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।