মাওলানা সাদকে আসার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে সড়কে সাদপন্থিদের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৯শে নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
মাওলানা সাদকে আসার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে সড়কে সাদপন্থিদের অবস্থান

আগামী বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আসার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে সাদপন্থি আলেম-উলামাদের একটি দল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের সামনে সড়কে অবস্থান নেন। তারা দাবি করেছেন, আসন্ন ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক। 


এদিকে, সাদের আসার অনুমতি নিয়ে যখন সংশয় দেখা দেয়, তখন আন্দোলনকারীরা কাকরাইল থেকে মাওলানা সাদের সমর্থনে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং এ কারণে তারা সড়কে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীদের এ কর্মসূচির ফলে কাকরাইল এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। অফিসগামী কর্মচারী এবং স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এই যানজটে পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন। এছাড়াও, হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া রোগী এবং তাদের স্বজনরা যাতায়াতের পথে আটকা পড়ে।


আন্দোলনকারীরা জানান, তারা মাওলানা সাদকে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেওয়ার অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম পর্ব এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, সাদের উপস্থিতি নিয়ে সরকারের অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়।


এদিকে, মাওলানা সাদের আগমনকে কেন্দ্র করে দেশে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গত নভেম্বরের শুরুতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী সরকারের কাছে সতর্কবার্তা দেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মাওলানা সাদ যদি তার ‘বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্য থেকে তওবা না করেন, তবে তাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না। হেফাজতের দাবি, মাওলানা সাদ নানা সময়ে কোরআন, হাদিস, নবী-রাসুল এবং ইসলামিক বিধান নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, যা ইসলামের মৌলিক নীতির সঙ্গে অমিল।


তবে, সাদপন্থিরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে, তাকে ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে সম্মান জানানোর দাবি তুলেছেন। আন্দোলনকারীদের মতে, মাওলানা সাদকে ইজতেমায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে বিশ্বের মুসলিমদের একতা ও শান্তি বজায় থাকবে।


বিশ্ব ইজতেমার সময় সাদের উপস্থিতি নিয়ে সরকার ও ইসলামী দলগুলোর মধ্যে যেসব বিতর্ক চলছে, তা ইজতেমার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।