দেবীদ্বারে আব্দুর রাজ্জাক উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, উপজেলা প্রতিনিধি - দেবীদ্বার, কুমিল্লা
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৩৪ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে আব্দুর রাজ্জাক উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

কুমিল্লার দেবীদ্বারে মোহাম্মদপুর আব্দুর রাজ্জাক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূতি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করে বিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন।


শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের আঙ্গীনা ছিল প্রাক্তন ও নতুন শিক্ষার্থীদের পদভারে মুখরিত। দেখে মনে হয়েছে এ যেনো এক মিলন মেলার প্রাণকেন্দ্র পরিনত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও পায়রা উড়িয়ে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে আমন্ত্রিত অতিথিরা। পরবর্তীতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখায় সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের মরনোত্বর সম্মাননা ও আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে সম্মাননা ক্রেষ্ট উপহার দেয়া হয়।


বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আশ্রাফুল আলমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু- নজরুল- রবীন্দ্রনাথ- লালন তাদেরকে আমরা কেনো স্মরণ করি? দেশে অনেক বড় বড় ডক্টরেট ডিগ্রিধারী আছে তাদের কেনো স্মরণ করি না? বঙ্গবন্ধু- নজরুল- রবীন্দ্রনাথ- লালন তারা নিজেদের জাগ্রত করতে পেরেছে। জ্ঞান দক্ষতার পাশাপাশি নিজেদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে পেরেছে। আমাদের শরীরে ৬০ গ্রাম ডিএনএ আছে। এই ডিএনএকে জাগ্রত করতে হবে। ভিতরের শক্তিকে জাগ্রত করতে হবে। নিজেদের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ ও সম্মানবোধ  তৈরি করতে হবে। তবেই আমরা প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারবো।


প্রভাষক পাপিয়া জান্নাত পলি ও মোঃ আফরোজ সরকার'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা রাখেন, মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার, মোঃ এজাজ মাহমুদ, মোঃ সিরাজুল ইসলাম সরকার, মোঃ আমির হোসেন, এম এ ওয়াদুদ প্রমূখ।


বিকেল ৩টা থেকে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল প্রাক্তন ও নতুন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের স্মৃতিচারণ এবং সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দীর্ঘদিন পর পুরনো সহপাঠীদের কাছে পেয়ে অনেকে হয়েছে আবেগ্লাপুত। দিনভর নাচে গানে ও সেল্ফিতে আনন্দঘন মুহুর্তকে স্মৃতির কোঠায় জমিয়ে রাখতে ব্যস্ত ছিলো বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।