উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৩৮৬ জন। পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা গতবছরের চেয়ে কমেছে অনেকটাই। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯ হাজার ৯৭১ জন শিক্ষার্থী। ফলে গত বছরের চেয়ে এ বছর জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ২ হাজার ৫৮৫।
অপরদিকে এ বছর পাসের হারও কমেছে। গত বছর এ হার ছিল ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ফলে গত বছরের থেকে এবার ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ কমেছে পাসের হার। তবে গত বছরের তুলনায় পাশের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কম হলেও ফলাফলে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফলাফলের এই পরিসংখ্যান ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন। তিনি বলেন, গত বছরের থেকে এ বছরে পাসের হার কিছুটা কমেছে, তবে এবারেও ছেলেদের থেকে মেয়েরা ভালো ফলাফল করেছে। ৬১ হাজার ৮৮৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ন হয়েছে ৫৩ হাজার ৮০৭ জন। এর মধ্যে ছেলে ২৫ হাজার ৫৮৮ ও মেয়ে ২৮ হাজার ২১৯ জন। ৭ হাজার ৩৮৬ জন জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৫৮০ ও মেয়ে ৫ হাজার ৮০৬ জন। আর জিপিএ-৫ এর বেলায় এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছে।
তিনি জানান, বরিশাল বোর্ডে পাসের হারের দিক থেকে সবার শীর্ষে রয়েছে ভোলা জেলা, আর সর্বনিম্ন পটুয়াখালী জেলা। ভোলায় পাসের হার ৯২ দশমিক ৯। এরপরে ৯১ দশমিক ১২ ভাগ নিয়ে এগিয়ে আছে বরিশাল। ঝালকাঠিতে পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৫, পিরোজপুরে ৮৮ দশমিক ১৮, বরগুনায় ৮৭ দশমিক ৮৩ ও পটুয়াখালীতে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৭৫ ভাগ। এবারে কোনো কলেজেই শূন্য পাশ নেই। তবে শতভাগ পাশ রয়েছে ৩৪টি কলেজে। এবারে ইংরেজী সাবজেক্টে তুলনামূলক ফলাফল খারাপ হয়েছে পরীক্ষার্থীদের।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, এ বছর বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাসের হার সব থেকে বেশি। এরপর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের অবস্থান। এবার সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে মোট ৩ হাজার ৩৮৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩ হাজার ২৬৪ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৭৩৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এ বছর বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে ১২৫টি কেন্দ্রে ৩৩১টি কলেজের ৬৩ হাজার ১৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে ৬১ হাজার ৮৮৫ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৫৩ হাজার ৮০৭ জন। আর মোট কলেজের মধ্যে ৩৪টির শতভাগ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে এবং ২৭৮ কলেজের ৫০ শতাংশের ওপরে পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। তবে কোনো কলেজ নেই যেখানে কেউ পাশ করেনি। এছাড়া এ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে ৫ জন মেয়ে ও ১৫ জন ছেলে বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বন করায় বহিষ্কার হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।