পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ছাড়াই স্বল্প পরিসে ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।
আজ ১৫ জুলাই (শুক্রবার) স্বল্পসংখ্যক শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অল্পকয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে উৎসববিহীন ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে একধরনের উৎসবমুখর আমেজ তৈরী করে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে নানা আয়োজন থাকবে ক্যাম্পাসে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এমনটাই আশা করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে শিক্ষার্থীদের সমালোচনার মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী এবং চার শতাধিকের উপর শিক্ষক রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে যেখানে সবার উপস্থিত থাকার কথা সেখানে মাত্র অল্প কয়েকজন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ মারুফ বলেন, দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয় যখন নিজেদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে নানা আয়োজনে করে থাকে সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নোবিপ্রবির এমন আয়োজন আমাদের জন্য লজ্জ্বার। বিশ্ববিদ্যালায় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর এই আয়োজন বড় পরিসরে করতে পারে।
সাইফুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেন, যাদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম তাদের বাদ দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় সামনে থেকে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আয়োজন করবে বলে আশাবাদী।
রাষ্ট্রীয় অন্যান্য দিবসের উদাহরণ টেনে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, নির্ধারিত তারিখ হিসেবে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ১৫ জুলাই সীমিত পরিসরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে ক্যাম্পাস খোলার পর বড় পরিসরে আয়োজনের বিষয় বিবেচনা করা হবে।
এ বিষয় জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, সংসদে আইন পাস হওয়ার দিন হিসেবে ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। নির্ধারিত দিবসে আমরা সীমিত পরিসরে উদযাপন করেছি। দিবসের দিনটি ঈদের ছুটিতে পড়ে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী আসতে পারে নি। দিবস পেছানো সম্ভব না বিধায় নির্ধারিত তারিখেই এটি পালন করা হয়েছে। নোবিপ্রবির সমসাময়িক সময়ে অন্য আরো কয়েকটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়েছে। ঈদের ছুটির মধ্যে দিবস পড়ে যাওয়ায় অন্য ক্যাম্পাসগুলোও নির্ধারিত তারিখে দিবস উদযাপন করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।