জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল মান্নানকে মারপিট করার অভিযোগ বরখাস্তকৃত সুপার আ.ন.ম আব্দুল মান্নারের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের কুয়াতপুর জিন্নাতিয়া দাখিল মাদ্রাসায়।
বরখাস্তকৃত সুপার আ.ন.ম আব্দুল মান্নান ওই মাদ্রাসার রেজুলেশনের খাতা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফটোকপি করার কথা বলে কৌশলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা দেন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার। এতে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতান্ডের এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ভারঃ সুপারকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে প্রতিষ্ঠানের কাগজ-পত্র নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় বরখাস্তকৃত সুপার। এ কাজের সহযোগিতা করেন প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মুক্তার হোসেন। প্রতিকারের আশায় দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার পাঁচবিবি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পাঁচবিবি থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত সোমবার (২০’জুন) দুপুরে বরখাস্তকৃত সুপার আ.ন.ম আব্দুল মান্নান অফিস থেকে রেজুলেশন খাতা ও কাগজপত্র ফটোকপি করবে বলে নিয়ে যাচ্ছিল। এতে বাঁধা প্রদান করে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল মান্নান।এক পর্যায়ে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে কাগজপত্র বাড়ীতে নিয়ে যায়।পরে পুলিশের সহায়তায় তার বাড়ি থেকে মাদ্রাসার খাতা-পত্র উদ্ধার করা হয়।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক বলেন,নানা অনিয়মের আ.ন.ম আব্দুল মান্নানকে সুপার পদ থেকে বরাখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে তিঁনি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছেন।এরই ধারাবাহিকতায় তিনি এমন কান্ড ঘটিয়েছে।
এবিষয়ে জানতে বরখাস্তকৃত সুপার আ.ন.ম আব্দুল মান্নানের (০১৭৪৪-----৯১) মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পাঁচবিবি থানার এস,আই মফিদুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে বরখাস্তকৃত মাদ্রাসার সুপার আ.ন.ম আঃ মান্নানের বাড়ী থেকে রেজুলেশনের বহি উদ্ধার করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।