মহামারী করোনার সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা দীর্ঘ ১ মাস পর সারাদেশের সাথে একযোগে বরিশালে খুলছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরকারের নির্দেশে সারা দেশের মত বরিশালেও স্কুল-কলেজ খোলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে শিক্ষক এবং কর্মচারীরা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ পর্যায়ে। শুধু অপেক্ষা রাত পোহালেই শিক্ষার্থীদের বরণ।
বরিশাল নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চত্বরের আশপাশের আগাছা, আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ চলছে। করোনা মহামারিতে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেমআলী কলেজ প্রাঙ্গনে দেখা যায়, কলেজ চত্বরের মধ্যে আগাছা পরিষ্কার, দেয়াল ও কক্ষে ঝাড়া-মোছাসহ শ্রেণিকক্ষগুলো পরিষ্কার করতে ব্যস্ত রয়েছেন কর্মীরা। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মুস্তফা কামাল নিজেই অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য সামনের মাঠে আগাছা ও গাছের পাতা ছাঁটাইয়ের কাজ তদারকি করছেন। তিনি বলেন, “সরকারি নির্দেশ মোতাবেক ক্লাস করার মতো উপযোগী করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নিতে পারবো বলে আশা করছি।”
নগরীর মথুরানাথ পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের স্কুল ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিট্যাইজার, মাস্ক ব্যবহার সহ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সকল প্রকার কার্যক্রম চলমান থাকবে। দেয়ালে টানানো হয়েছে সরকারি সতর্কতা নির্দেশনামূলক ব্যানার।
নগরীর অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র পাল বলেন, প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবানুনাশক রাখা হবে। প্রত্যক শিক্ষার্থীরা তা ব্যবহার করে ক্লাস আসবে এবং মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। এছাড়া ছেলেমেয়েদের তিন ফুট দুরত্ব বজায় রেখে ক্লাসে বসানো হবে। এমনকি চারজন শিক্ষকের সমন্বয় সারাক্ষণ ক্লাস চলাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি উপর বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে।
বরিশালের শিক্ষা অফিসের একাধিক কর্মকর্তা জানান, “সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। এরই মধ্য জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরির্দশন করছি। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য মহামারী করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও শ্রেণি কার্যক্রম চলছিল স্বল্প পরিসরে। সব শ্রেণির ক্লাস সব দিন হচ্ছিল না। কিন্তু নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় এই ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পরে তা আবার বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।