বিধি ভেঙে বাবুগঞ্জে কলেজ অধ্যক্ষ নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জ্যেষ্ঠ চার শিক্ষককে বাদ দিয়ে গভর্নিং বোর্ডের সদস্যদের ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকরা। আর অধ্যক্ষ নিয়োগে বিধিমালা না মানায় কলেজের সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে বড় ধরণের বিক্ষোভের আশংকা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এছাড়া বিধি ভংগের দায়ে আদালতে রিট পিটিশন দাখিলের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে অধ্যক্ষ পদ অবসরে যান আ.ক.ম. মিজানুর রহমান। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে আরো এক বছরের জন্য অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালনের জন্য রেজুলেশনের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। কিন্তু ওই অনুমোদন আসার পূর্বেই গভর্নিং বোর্ডের সদস্যদের ম্যানেজ করে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শাহে আলম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। আর এতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে।
জানা গেছে, শিক্ষক শাহে আলমের পূর্বে আরো পাঁচজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম দর্শন বিভাগের এস.এম খলিলুর রহমান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মোঃ গোলাম হোসেন, বাংলা বিভাগের জাহানারা মালেক, পদার্থ বিজ্ঞানের আশীষ কুমার মজুমদার। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেয়া শিক্ষক শাহ আলমের শিক্ষা জীবনে অন্তত তিনটি তৃতীয় বিভাগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক শিক্ষক বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালাকে অগ্রাহ্য করে শিক্ষক শাহে আলম অধ্যক্ষ পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। এতে করে কলেজের সিনিয়র শিক্ষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, একজন অযোগ্য লোক দিয়ে কলেজ পরিচালনা করা হলে শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাস ও পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। তাই অনতিবিলম্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশা তাদের।
এ ব্যাপারে কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি সিরাজউদ্দিন আহম্মেদ মুঠোফোনে জানান, আ.ক.ম মিজানুর রহমান অবসরে যাওয়ায় শিক্ষক শাহে আলম জ্যেষ্ঠদের তালিকায় উঠে আসেন। তাছাড়া ওই সময় জ্যেষ্ঠতা বিবেচনা না করে নির্বাচন ও অন্যান্য বিষয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষক শাহে আলমকে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। অধ্যক্ষ পদে শাহে আলমকে দায়িত্ব দেয়ার কলেজে শিক্ষকদের মাঝে মনোক্ষুন্নতার সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে সভাপতি সিরাজউদ্দিন আহম্মেদ আরো জানান, খুব শীঘ্রই বোর্ড সভা ডেকে কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হবে।
এদিকে কলেজের বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ার প্রতিবাদে আদালতের দারস্থ হবে পদবঞ্চিত শিক্ষকরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।