মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

অর্থনীতি

দেশের টাকা চলে যাচ্ছে, কোনো অ্যাকশন দেখছি না

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:১৫

শেয়ার করুনঃ
দেশের টাকা চলে যাচ্ছে, কোনো অ্যাকশন দেখছি না
বাংলাদেশ
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা থমকে গেছে। চলমান ধারা থেকে অনেক দূর পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দেশীয় সমস্যা ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো মিলে বাংলাদেশ দোলাচলের মধ্যে আছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের জন্য অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলো দেশের মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন। কিন্তু সরকারকে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পগুলোর দিকে বেশি নজর দিতে দেখা যায়। তবে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের আড়ালে যেমন দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন, সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের প্রতি সরকারের দৃষ্টি কম। তেমনি মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের সঙ্গে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের সামঞ্জস্যতা নেই। ফলে মানুষের মধ্যে দিনদিন বৈষম্য বাড়ছে, মানুষের জীবন যাত্রায় হতাশা বাড়ছে, কিন্তু তাদের জীবনমান বাড়ছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সালেহউদ্দিন আহমেদ দৈনিক মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বড় বড় গ্রোথ পার্সেন্ট এসবতো উন্নয়ন নয়। ৮ দশমিক ৪ সরকারের যে হিসেবগুলো করা হচ্ছে, এতে সঠিকভাবে মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের বিষয়টি কিন্তু প্রকাশ করে না। মানুষের মধ্যে দিনদিন বৈষম্য বাড়ছে, মানুষের জীবন যাত্রায় হতাশা কাজ করছে, তাদের জীবন মান অপেক্ষাকৃত ভালো বাড়ছে না। কিছু কিছু মানুষ আপনি দেখতে পারছেন যে, ঢাকায় বসে অনেকে পশ্চিমাদের লাইফ লিড করছে, আবার অন্যদের দেখেন তাদের কোন উন্নতি হচ্ছে না। তাদের সন্তানদের স্কুলে দিয়ে ভালো শিক্ষার মান পাচ্ছে না। এরপর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে দেখেন, যেটা দিচ্ছেন সেটা শুধু নামে মাত্র, স্বাস্থ্যে বাংলাদেশের মানুষদের সব চেয়ে বেশি খরচ হয়। এটা অত্যন্ত কষ্টদায়ক ব্যাপার। এভাবে শিক্ষা, কর্মসংস্থান সবখানে একই অবস্থা। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, আমরা করছি, কিন্তু কী করা হচ্ছে দৃশ্যমান নয়। আপনি শিক্ষিত তরুণদের জন্য কী করছেন? যারা বেকার, চাকরি পাচ্ছে না তাদের জন্য কী করা হচ্ছে? যারা ব্যবসা করতে চায় তারা ফান্ড পাচ্ছে না। শুধু সামাজিক নিরাপত্তার উদাহরণ দিচ্ছেন কিন্তু সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কোথায়? সেটাতো হচ্ছে না, হবেও না। কারণ, অসমতা বা অসামঞ্জস্যতার যে কারণটা সেটাতো আগে দূর করতে হবে। যেমন ব্যাংকের ঋণ সবার কাছে তো যাচ্ছে না কিছু লোকের কাছে যাচ্ছে। তারপর যারা ব্যবসা করছে কিছু লোক সুযোগ পাচ্ছেন অন্যরা পাচ্ছে না। এরপর স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল এগুলো যাদের রাজনৈতিক প্রভাব আছে তারা করছে। সুতরাং দিনদিন যে অসমতার অবস্থা তৈরি করছেন সেখানে হঠাৎ করে উপর থেকে সমস্যা সমাধান হবে না। স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, যেকোন টেকসই উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হলো গণতন্ত্র এবং সুশাসন। এটা ছাড়া কোন উন্নয়ন উন্নয়নই নয়। সেটাকে আমরা টেকসই উন্নয়ন বলতে পারবো না। হতে পারে কিছু উন্নয়ন কিন্তু গণতন্ত্র ও সুশাসন ছাড়া সেটা টেকসই হয় না। যেমন আর্জেন্টিনা, তারা ভালো একটি দেশ ছিলো কিন্তু টিকতে পারেনি, ব্রাজিলেরও একই অবস্থা। এখন অনেকেই চায়নাকে উদাহরণ দেয়। তাদের গণতন্ত্র আবার অন্যরকম। তারা অন্যভাবে জনগনের অংশগ্রহণ নিচ্ছে। সেটাও দেখবেন বেশ সুবিধা হবে না, আল্টিমেটলি তাদের ওপরে প্রভাব আসবে হয়তো সেটা এখন দেখবেন না। এরপর রাশিয়ায় উন্নয়ন হচ্ছিলো তারপর টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। এখন পুতিন ধরে রেখেছে, শক্তিশালী দেশ বলা যায় কিন্তু সেটাকে উন্নত দেশে বলা যাবে না। অর্থাৎ গণতন্ত্র ও টেকসই উন্নয়ন, এবং সমতাভিত্তিক উন্নয়ন হলো সামঞ্জস্যপূর্ণ। একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। মানুষের যদি সরকারের প্রতি বিশ্বাস না থাকে, গণতন্ত্র যদি না থাকে তবে যেকোন সরকারের ভালো ইচ্ছাও শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয় না, বিদ্রোহ দেখা যায়। একটা উদাহরণ হয়েছে প্যারিসে, সেখানে সামান্য ফুয়েলের ওপর টেক্স বাড়িয়েছে। এটা সে দেশের জন্য কিন্তু তেমন কিছু না। অথচ এতে সেখানকার মানুষজন ক্ষোভে ফেটে পড়ছে। একটি দেশে মেট্রোর ভাড়া বাড়িয়েছে, ভালোর জন্য ভাড়া বাড়িয়েছে তবুও সেখানে জনগণ বিদ্রোহ করছে। সে বিদ্রোহ মেট্রোর বিরুদ্ধে নয়, সরকারের বিরুদ্ধে। এরকম হংকংয়ে একটা উদাহরণ আছে। সরকারের ভালো ইচ্ছাও কিন্তু তারা নিতে পারছে না, বিদ্রোহ করছে গণতন্ত্র না থাকার কারণে। মূল বিষয়টা হলো, মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন করছেন কি-না। আর এটা গণতন্ত্র ও সুশাসন ছাড়া কোনভাবেই পারবেন না। বলা হচ্ছে গণতন্ত্র আছে। তো কে বলেছে যে গণতান্ত্রিক সরকারের সুশাসন থাকবে না। গণতন্ত্র না থাকলেতো সুশাসন থাকবে কি করে। গনতন্ত্র নেই জন্যই সুশাসন নেই।

আরও

খেলাপি ঋণে দেশের ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা

খেলাপি ঋণে দেশের ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা
তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন তখনই হবে যখন দারিদ্রমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ সব ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। এমনভাবে ডেভেলপমেন্ট করবেন যাতে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম সেই ফল ভোগ করতে পারে। কিন্তু এমন কোন আভাস দেখা যাচ্ছে না। আপনি চলে গেলে আপনার ভবিষ্যত প্রজন্ম কী করবে আপনি নিজেও তা জানেন না। কোন সুরক্ষা নেই, শুধু কিছু বিত্তবান লোক ছাড়া। আর এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য প্রচুর অর্থও লাগবে। কিন্তু বাংলাদেশে এতো অর্থ পাবে কি-না। অতএব আমি মনে করি, এসডিজির জন্য সবগুলো গোলের দিকে না গিয়ে বরং সামাজিক কতগুলো বিষয় আছে যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বৈষম্য দূর করা। সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি আয় বাড়ানো। এসব কাজগুলো আগে করতে হবে।

অন্যদিকে, আমাদের শুধু রেমিটেন্স আয় বাদে অন্য সবগুলো সূচক নিম্নমুখী। এখনো সময় আছে আমাদের এই সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সাধারণ মানুষের কনফিডেন্সও নিতে হবে। তাদেরকে বুঝিয়ে সবকিছু করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন বুঝে যে, এটা আমার ভালোর জন্য করা হচ্ছে। তাছাড়া কিন্তু সাধারণ মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তারা জানেন না যে, তাদের জন্য কী করা হচ্ছে। মানুষ এখন উদাসিন, তারা রাস্তায় হেঁটে আর ব্যানার ফেস্টুনের দিকে তাকিয়ে থাকে। তাদের মনের মধ্যে একধরনের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, যেটা তারা প্রকাশও করতে পারে না। এমন হলেতো হবে না, কারণ মানুষই যদি আপনার সঙ্গে না থাকে যতো বড় সদিচ্ছাই থাকুক সেটা আপনি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না।

২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার চিন্তা ছিলো সরকারের। চলতি অর্থবছরের সাড়ে সাত মাসেই সরকার ঋণ নিয়েছে ৫২ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। আর সব মিলিয়ে চলতি বছরের ১৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক খাত থেকে নেয়া সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। এ বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেট বাস্তাবায়নের জন্য সরকার ঋণ নিয়ে থাকে। কিন্তু এবার যেটা হয়েছে যা টার্গেট হয়েছিলো তার চেয়ে অনেক বেশি দাঁড়িয়েছে। এর মূল কারণ হলো, রাজস্ব আয় কমে গেছে। একদিকে, আবার সরকারের খরচ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে যে খরচ, সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দেয়া। এছাড়া বিভিন্ন কারণে সরকারের খরচ বেড়ে গেছে। এতে বিশেষ করে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif
এর ফলে প্রাইভেট সেক্টরকে ব্যাংকগুলো যে ঋণ দেয় সেটার ক্ষমতা হ্রাস পাবে। অথচ প্রাইভেট সেক্টরই কিন্তু আমাদের গ্রোথ, প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে মূল চালিকা শক্তি। আর সরকারি বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো থেকে বেনিফিট আসতে অনেক সময়ের ব্যাপার, প্রায় ৫ থেকে ১০ বছররের আগে আসবে না। তো এরইমধ্যে যে ইম্পেক্ট পড়বে তাতে সব বেসরকারি খাতে ঋণ কমবে, কর্মসংস্থান কমে যেতে পারে, এছাড়াও মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়বে। আর ব্যাংকাররাও দেখে যে কোন ঝামেলা ছাড়াই চুপচাপ বসে থেকেই সরকার থেকে সেটা রিটার্ন পাচ্ছে। শিল্প খাতে ঋণ দিতে ব্যাংকারদের তৎপরতা দেখা যায় না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, প্রাইভেট সেক্টরে ঋণের প্রবাহ কমে যাচ্ছে। অপরদিকে, আবার ডিপোজিট অনেক কমে যাচ্ছে। আর সরকারের সুদের হার যেটা এপ্রিল মাসে কার্যকর হবে কিন্তু ব্যাংকগুলো এখন থেকেই এটা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকারদের ওপর যে চাপ পড়বে সেটা হলো তাদের যে প্রফিট রেট, ঋণ দেয়ার সক্ষমতা সেটা কমে যাবে।

আরও

অক্টোবরে রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড বৃদ্ধি, প্রতিদিন আসছে ৮.৯ কোটি ডলার

অক্টোবরে রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড বৃদ্ধি, প্রতিদিন আসছে ৮.৯ কোটি ডলার
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণে ব্যাংকের যেটা হচ্ছে এখন যে পজিশনে আছে সেটা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। বলবো যে, ব্যাংকিং সেক্টরটা চরম দুরাবস্থার মধ্যে আছে। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া মানেই হলো- ব্যাংকের যে ঋণ আটকে গেছে, এই ঋণগুলো অন্য প্রডাক্টিভ খাতে গেলে আবার রিটার্ন আসতো। ব্যাংকের ইনকাম বাড়তো, যারা শেয়ার হোল্ডার তাদের ইনকাম বাড়তো।

বিদেশে টাকা পাচারের ব্যাপারে তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে এতে বোঝা যাচ্ছে যে, আমাদের ব্যাংককিং সেক্টরে, আর্থিক খাতে সুশানের অভাব। এখানে যে নিয়মনীতিগুলো আছে সেগুলো পরিপালনের অভাবে এগুলো হচ্ছে এবং এখানে সুপারভিশন মনিটরিংয়েরও যথেষ্ট ঘাটতি আছে। না হলে দিনের পর দিন লোকজন নানা ভাবে এই টাকাগুলো নিয়ে যেতে পারতো না। আর টাকাগুলো নিয়ে যাচ্ছে জেনেও কিন্তু আমরা দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখছি না। শুধু দেখছি যে, কিছু লিস্ট বেরিয়েছে, কিছু নাম বেরিয়েছে কিন্তু এখানে বিশেষ করে বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আছে, এসিসি আছে, সিআইডিও এটি নিয়ে ডিল করে, এদের জানাও আছে কিছু কিছু যারা টাকা নিয়ে গেছে,  কিন্তু এদের ব্যাপারে কঠোর যে পদক্ষেপ নেয়া তা দৃশ্যমান নয়। এদেরকে ধরে ধরে শাস্তি দিতে হবে, কারণ শাস্তির বিকল্প কিন্তু কোন কিছু হয় না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আরও নতুন করে উৎসাহ পায়। আর টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারটা আরও কঠিন। এটা সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। মানি লন্ডারিং, ফাইন্যানন্স ফর টেররিজম, ফাইন্যান্স ফর প্রস্টিটিউশন, বোর্ডার স্মাগলিংসহ অনেক অপরাধ হয়। এগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশকে আমি দেখছি না, যে স্টেট টু স্টেট, এটা একদম ঢালাওভাবে ৫০ টি দেশের সঙ্গে করতে পারে না, ওয়ান টু ওয়ান পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু কোথায় বেশি যাচ্ছে- সিঙ্গাপুর, তখন তাদের সঙ্গে আলাপ, মালয়েশিয়াতে যাচ্ছে ওটা নিয়ে আমরা কোন অ্যাকশনই দেখছি না, আমেরিকাতে যাচ্ছে সেটার ব্যাপারে ব্যবস্থা দেখছি না, ইন্ডিয়াতে বহু টাকা চলে যাচ্ছে সেটার ব্যাপারে কোন অ্যাকশান দেখছি না। তো ওয়ান টু ওয়ান ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একবারেই যে হচ্ছে না তা নয়, তবে সেগুলো খুব দুর্বল, একবার নিয়ে বসে থাকে তারপর আর কোন ফলোআপ অ্যাকশান নেয় না। 

তিনি বলেন, এইযে আমাদের নিজস্ব এতগুলো টাকা বিদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর বিশাল অংশ যেটা দিয়ে বিনিয়োগ করা যেতো, আর্থিক খাতে বিনিয়োগ করা যেতো সেটা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। একদিক থেকে আমরা অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি অন্যদিকে এই অর্থ দিয়ে বিনিয়োগ করে যে লাভ হতো, এ থেকে কর্মসংস্থান হতো সেটা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। সুতরাং দু’দিক থেকেই আমরা বড় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। আর যখন বিদেশে টাকা পাচার হয়ে যায় তখন কিন্তু আমাদের গভর্নেন্স ইকোনমিক মনিটরিং সেটা সাধারণত দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন বাইরে থেকে যারা ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে আসতে যাবে তখন তারা সাবধানতা অবলম্বন করবে। আর আমাদের যে ভালো সৎ ব্যবসায়ী তারাও লেবেল প্লেইং ফিল্ডে কাজ করতে পারবে না। যারা স্থিথিশীল ব্যবসা চায়, ইন্ডাস্ট্রি চায় তাদের জন্য কিন্তু ব্যবসার পরিবেশ দিনদিন ডিফিকাল্ট হয়ে পড়ছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব

সর্বশেষ সংবাদ

গণভোটে চার প্রশ্ন, বুধবারের মধ্যেই গেজেট

গণভোটে চার প্রশ্ন, বুধবারের মধ্যেই গেজেট

টেকনাফ উপকূলে যৌথ অভিযানে ভেস্তে গেল মানবপাচার, উদ্ধার ২৮ জন

টেকনাফ উপকূলে যৌথ অভিযানে ভেস্তে গেল মানবপাচার, উদ্ধার ২৮ জন

সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক: প্রবাসী ভোটার নিয়ে সময় বাড়ানোর দাবি

সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক: প্রবাসী ভোটার নিয়ে সময় বাড়ানোর দাবি

প্রবাসীরা প্রথমবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন: ইসি সচিব

প্রবাসীরা প্রথমবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন: ইসি সচিব

গোয়ালন্দে দিনব্যাপী তারুণ্যের পিঠা উৎসব

গোয়ালন্দে দিনব্যাপী তারুণ্যের পিঠা উৎসব

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় ফের ভূমিকম্প: বিকেল ৬টা ৬ মিনিটে ৩.৭ মাত্রার কম্পন

ঢাকায় ফের ভূমিকম্প: বিকেল ৬টা ৬ মিনিটে ৩.৭ মাত্রার কম্পন

একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট—চ্যালেঞ্জের মুখে ইসি: সিইসি

একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট—চ্যালেঞ্জের মুখে ইসি: সিইসি

পদ্মা ব্যারেজ হলে রাজবাড়ী হবে উন্নত শহর - প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

পদ্মা ব্যারেজ হলে রাজবাড়ী হবে উন্নত শহর - প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

দিনাজপুরে মিনিবাস–অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

দিনাজপুরে মিনিবাস–অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২২

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২২

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

শীতকালীন সবজিতে ভরপুর বাজার, তবুও দাম হাতের নাগালে নয়

শীতকালীন সবজিতে ভরপুর বাজার, তবুও দাম হাতের নাগালে নয়

শীতের শুরুতেই রাজধানীর কাঁচাবাজার ভরপুর মৌসুমি সবজিতে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় দাম না বাড়লেও এখনো ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসেনি বলে অভিযোগ করছেন সাধারণ ক্রেতারা। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডির রায়ের বাজার ও মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সারাদেশের অন্যান্য বাজারেও একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমলেও অনেক পণ্যই এখনও ৮০–১০০

বাংলাদেশিদের জন্য পুনরায় ব্যবসায়িক ভিসা ইস্যু শুরু: ভারতীয় হাইকমিশনার

বাংলাদেশিদের জন্য পুনরায় ব্যবসায়িক ভিসা ইস্যু শুরু: ভারতীয় হাইকমিশনার

বাংলাদেশিদের জন্য ব্যবসায়িক ভিসা ইস্যুর কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সীমিত কর্মী ও সক্ষমতাজনিত নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ভিসা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ভারতীয় হাইকমিশন বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘ফার্মা কানেক্ট’ নামের নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান বিনিময় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রণয় ভার্মা। হাইকমিশনার বলেন, সাম্প্রতিক

পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত, শেয়ার মূল্য শূন্য

পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত, শেয়ার মূল্য শূন্য

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ডিএসই থেকে জারি করা নোটিশে জানানো হয়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। ডিএসই জানায়, ব্যাংক রেজোলিউশন অধ্যাদেশ,

১১ নভেম্বর থেকে সরবরাহ বন্ধের হুমকি আদানির

১১ নভেম্বর থেকে সরবরাহ বন্ধের হুমকি আদানির

ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার লিমিটেড বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে থাকা ৪৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি ৩১ অক্টোবর বিপিডিবির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান

খেলাপি ঋণে দেশের ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা

খেলাপি ঋণে দেশের ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা

বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো চাপের মুখে রয়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংস্থাটি সুদের হারকে আরও বাজারভিত্তিক করার তাগিদ দিয়েছে। পাশাপাশি তারা জানায়, মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হলে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখতে হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৩৬ শতাংশে। আইএমএফ এই প্রবণতাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও মনে করছে,