বিদেশে টাকা পাচারের ব্যাপারে তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে এতে বোঝা যাচ্ছে যে, আমাদের ব্যাংককিং সেক্টরে, আর্থিক খাতে সুশানের অভাব। এখানে যে নিয়মনীতিগুলো আছে সেগুলো পরিপালনের অভাবে এগুলো হচ্ছে এবং এখানে সুপারভিশন মনিটরিংয়েরও যথেষ্ট ঘাটতি আছে। না হলে দিনের পর দিন লোকজন নানা ভাবে এই টাকাগুলো নিয়ে যেতে পারতো না। আর টাকাগুলো নিয়ে যাচ্ছে জেনেও কিন্তু আমরা দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখছি না। শুধু দেখছি যে, কিছু লিস্ট বেরিয়েছে, কিছু নাম বেরিয়েছে কিন্তু এখানে বিশেষ করে বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আছে, এসিসি আছে, সিআইডিও এটি নিয়ে ডিল করে, এদের জানাও আছে কিছু কিছু যারা টাকা নিয়ে গেছে, কিন্তু এদের ব্যাপারে কঠোর যে পদক্ষেপ নেয়া তা দৃশ্যমান নয়। এদেরকে ধরে ধরে শাস্তি দিতে হবে, কারণ শাস্তির বিকল্প কিন্তু কোন কিছু হয় না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আরও নতুন করে উৎসাহ পায়। আর টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারটা আরও কঠিন। এটা সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। মানি লন্ডারিং, ফাইন্যানন্স ফর টেররিজম, ফাইন্যান্স ফর প্রস্টিটিউশন, বোর্ডার স্মাগলিংসহ অনেক অপরাধ হয়। এগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশকে আমি দেখছি না, যে স্টেট টু স্টেট, এটা একদম ঢালাওভাবে ৫০ টি দেশের সঙ্গে করতে পারে না, ওয়ান টু ওয়ান পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু কোথায় বেশি যাচ্ছে- সিঙ্গাপুর, তখন তাদের সঙ্গে আলাপ, মালয়েশিয়াতে যাচ্ছে ওটা নিয়ে আমরা কোন অ্যাকশনই দেখছি না, আমেরিকাতে যাচ্ছে সেটার ব্যাপারে ব্যবস্থা দেখছি না, ইন্ডিয়াতে বহু টাকা চলে যাচ্ছে সেটার ব্যাপারে কোন অ্যাকশান দেখছি না। তো ওয়ান টু ওয়ান ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একবারেই যে হচ্ছে না তা নয়, তবে সেগুলো খুব দুর্বল, একবার নিয়ে বসে থাকে তারপর আর কোন ফলোআপ অ্যাকশান নেয় না।