ঈদের আগে মার্চ মাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহের পর এবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সুখবর দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাস শেষ হওয়ার আগেই মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্ধারিত বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী, এই রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ৯ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির আমদানি বিল বাবদ ১.৭৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর নিট রিজার্ভ ১৯.৭৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
এছাড়া, জানুয়ারির শুরুতে আকুর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কিছুটা কমেছিল। তখন ১.৬৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের ফলে নিট রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের নিচে নেমে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে প্রকৃত নিট রিজার্ভ নির্ধারণ করা হয়।
বিশ্ববাজারে ডলার সংকট এবং আমদানি ব্যয়ের চাপ থাকলেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই ধারা বজায় থাকলে রিজার্ভ আরও স্থিতিশীল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি আসবে। তবে আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মনে করছেন।