পটুয়াখালীর সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিরাজলা গ্রামে জমি ও ধানের মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছে। বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা দুলাল মাদবর ও ভূমিদস্যু মিলন গাজীর বিরুদ্ধে নিজেদের জমির চাষাবাদের ধান দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (৮ জানুয়ারি) পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নুর মোহাম্মদ রনি।
সংবাদ সম্মেলনে নুর মোহাম্মদ রনি জানান, বাবু খা ওয়াকফা এস্টেটের ১০ একর জমির মালিকানা আদালতের রায়ে তাদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট থেকে রায় পাওয়ার পর তারা জমিতে ধান রোপণ করেন এবং তা ঘরে তুললেও গত ২৯ ডিসেম্বর ভূমিদস্যু মিলন গাজী ও তার সহযোগীরা ধান দখল করার চেষ্টা করে। এ সময় থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ধান স্থানীয় মতলেব দফাদারের বাড়িতে হেফাজতে রাখে।
পরে মিলন গাজীর পক্ষ থেকে তাদের সাইনবোর্ড উঠিয়ে নেওয়া হয় এবং আইনজীবীদের উপস্থিতিতে জমির কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত দেওয়া হলেও তা মানা হয়নি। এমনকি ধানের মালিকানা নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন, বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা দুলাল মাদবর ও মিলন গাজী তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন জমি ও ধান অর্ধেক ভাগাভাগি করার জন্য। এছাড়া তাদের এলাকা ছাড়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
নুর মোহাম্মদ রনি জানান, এই জমি রক্ষার জন্য তার বাবা শের আলী খাঁ ৪০ বছর ধরে মামলা মোকদ্দমা করে এসেছেন। কিন্তু আদালতের পক্ষে রায় পাওয়ার পরও জমি ও চাষাবাদের ধান তারা পাচ্ছেন না। ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই তারা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার উপ-পরিদর্শক কমল জানিয়েছেন, আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ধান ভুক্তভোগী পরিবারকে দেওয়ার কথা ছিল। তবে বিবাদীপক্ষ এই সিদ্ধান্ত মানছে না। দ্রুত বিষয়টি সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।