দেশের সিএনজি ও বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি এখনো চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বুধবার নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা মোড়ে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ বিষয়ে জনগণকে অবহিত করতে লিফলেট বিতরণ করেন এবং ঘোষণাপত্রে ৭ দফা অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান।
সারজিস আলম বলেন, শেখ হাসিনা তার দোসরদের দিয়ে প্রতিটি স্থানে চাঁদাবাজি চালু রেখেছেন। একনায়কতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে জনগণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এখনও সিএনজি ও বাসস্ট্যান্ডগুলোতে অনিয়ম চলছে। তিনি এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি দাবি করেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ ৭টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেগুলো হলো: জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের স্বীকৃতি, আওয়ামী খুনি ও তাদের দোসরদের বিচারের অঙ্গীকার, ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা স্পষ্ট করা, নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি, সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মাধ্যমে নাগরিক পরিচয় ভিত্তিক রাষ্ট্রকাঠামো গঠন এবং ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি।
পথসভায় তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, এই ৭টি দাবি বাস্তবায়ন ছাড়া গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সম্ভব নয়। জনগণকে সচেতন হয়ে চাঁদাবাজি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।