ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ১২ই ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ব্যাংক দুটিতে পর্যবেক্ষক দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।


তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক আবুল কালাম এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে মোতাসিম বিল্লাহকে নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নবনিযুক্ত পর্যবেক্ষকরা এখন থেকে বেসরকারি ব্যাংক দুটির পর্ষদ, নির্বাহী ও নিরীক্ষা কমিটির সভায় অংশ নেবেন। বৈঠকের বিষয়বস্তু জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রতিবেদন দেবেন।


মেজবাউল হক বলেন, বেসিক ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে পর্যববেক্ষক পরিবর্তন করা হয়েছে। আর জনতা ব্যাংকে কোঅর্ডিনেটর পরিবর্তন করা হয়েছে।


ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আবুল কালাম ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক। আর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক হয়েছেন মোতাসিম বিল্লাহ। তিনি পেমেন্ট সার্ভিস বিভাগের পরিচালক।


সাধারণত কোনো ব্যাংকের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা থাকলে কোম্পানি আইন অনুযায়ী ওই ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


ঋণ অনিয়মের মধ্যে আবারও আলোচনায় আসা ইসলামী ব্যাংকে এক দশক আগেই পর্যবেক্ষক বসিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুই বছর আগে সেই পর্যবেক্ষক অবসরে যান।


নামে-বেনামে ঋণ দেওয়াসহ নানা কারণে সম্প্রতি আলোচনায় আসে ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠাও দেখা দেওয়ায় অনেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন, এমন খবরও আসে। এর মধ্যেই ব্যাংক দুটিতে পর্যবেক্ষক বসাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।স্ত্রীকে খুনে দায়ে হাজতবাস, জেল খেটে বেরিয়ে মৃত স্ত্রীকে পেলেন দ্বিতীয় স্বামীর আঙিনায়!

ইনিউজ

নিজের মৃত্যুর গল্প ফাঁদতে আচমকা বাড়ি থেকে উধাও! তারপর একটি মৃতদেহও পাওয়া যায়। আরও জোরদার হয় গল্পের প্লট! স্ত্রীকে খুনের দায়ে তারপর জেল হয় স্বামী ও তাঁর বন্ধুর। কিন্তু সেই ঘটনা ৬ বছর পর অবশেষে সেই গল্পের পর্দা উঠল। ৬ বছর পর জীবিত খুঁজে পাওয়া গেল ওই 'মৃত' মহিলাকে। শুধু খুঁজে পাওয়া-ই নয়, দেখা গেল ওই মহিলা উধাও হয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন। তারপর এখন দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সংসার করছেন তিনি। ঘটনাটি রাজস্থানের। বলাইবাহুল্য যে, রাজস্থানের এই ঘটনায় হতভম্ব সবাই। 


এই গল্পের মুখ্য চরিত্র হলেন আরতী দেবী। তাঁকে খুনের দায়ে ইতিমধ্যেই ১৮ মাস জেল খেটে ফেলেছেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামী সোনু সাইনি (৩২)। সেইসঙ্গে ৯ মাস জেল খেটেছেন সোনুর বন্ধু গোপাল সাইনিও (৩০)। এমনকি আরতী দেবীকে খুনের দায়ে স্বামী সোনু সাইনি ও গোপাল সাইনিকে গ্রেফতার করার জন্য তদন্তকারী পুলিস অফিসারকে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কারও দেওয়া হয়েছিল। সেই আরতী দেবীকেই পাওয়া গেল জীবিত অবস্থায়। তাজ্জব করা এই ঘটনায় রীতিমতো  চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার দুটো আধার কার্ড-ও উদ্ধার হয়েছে। যেখানে দুটি আধার কার্ডে ওই মহিলার দুটি জন্মতারিখের উল্লেখ রয়েছে।


২০১৫ সালে বৃন্দাবনের ভাড়া বাড়ি থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যান আরতী দেবী। এরপর একটি অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। যেটি তাঁর নিখোঁজ মেয়ের দেহ বলে শনাক্ত করেন আরতী দেবীর বাবা। এখন আরতি দেবীর স্বামী সোনু সাইনি ও তাঁর বন্ধু গোপাল সাইনি একটি রেস্তরাঁতে কাজ করতেন। আরতী দেবীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে তাঁদের খুনের দায়ে গ্রেফতার করে বৃন্দাবন পুলিস। এখন সেই ঘটনার ৬ বছর পর ফাঁস হল আসল ঘটনা। নাটকের পর্দা উঠল। 'মৃত' আরতী দেবীকে খুঁজে বের করেছেন খুনের দায়ে অভিযুক্ত ও জামিনে মুক্ত সোনু এবং গোপাল-ই। তারপরই তাঁরা মথুরা পুলিসকে খবর দেন। ওই মহিলাকে আটক করেছে পুলিস।


প্রসঙ্গত, কদিন আগেই ঠিক এরকমই একটি ঘটনা সামনে আসে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। বেঁচে ফেরে ৭ বছর আগে 'খুন' নাবালিকা! এদিকে তখনও জেলে অভিযুক্ত। শুধু জীবিত অবস্থায় পাওয়া যাওয়া-ই নয়, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ওই নাবালিকা রীতিমতো বিয়ে করে হাথরসে স্বামীর সঙ্গে সংসারও করছে! এখন ওই নাবালিকার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ টেস্ট করবে পুলিস।