দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: রবিবার ১৯শে ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৫২ অপরাহ্ন
দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে একাধিক ঢেউয়ের আঘাতের সত্ত্বেও সরকারের দ্রুত ও সময়োচিত পদক্ষেপে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। করোনার সংক্রমণের হার হ্রাস পাওয়া এবং সরকারের সহনশীল নীতির সহায়তা অব্যাহত থাকার কারণে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশা করা যায়।


বাংলাদেশের সঙ্গে ২০২১ আর্টিকেল ৪ কনসালটেশন নিয়ে আলোচনার জন্য রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএফএম এর একটি প্রতিনিধিদল ৫ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় সফর করছে। এসফরকালের একটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধলে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।


বিজ্ঞপ্তিতে ধারণা করা হয়েছে, খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি এবং বিশেষ করে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য বেশি হবে। এদিকে মহামারি সম্পর্কিত ব্যয় বৃদ্ধির পাওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে আর্থিক ঘাটতি জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। তবে মূলধনী পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল এবং ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়ায়, চলতি হিসাবের ঘাটতি এ অর্থবছরে আরও বাড়বে মনে করছে আইএমএফ।


আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সংস্থা অনুমান করছে, বাহ্যিক পরিবেশের উন্নতি এবং অভ্যন্তরীণ টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতি সঙ্গে সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাবে। তবে সার্বিক বিবেচনায় সামনের দিনগুলোতে যে বেশ কিছু অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি রয়েছে।


এরজন্য রাজস্ক আহরণ বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদনমুখী বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের নীতি কাঠামো সংস্কারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  রাজস্ব খাতের আধুনিকায়ন, রাজস্ব ব্যয়ের যৌক্তিকিকরণ, সঞ্চয়পত্রকে বাজেটের সরাসরি অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত না রাখা এবং জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে একটি আধুনিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুললে অতিরিক্ত সামাজিক, উন্নয়নমূলক এবং জলবায়ু সংক্রান্ত ব্যয়কে সামঞ্জস্য করতে সহায়তা করবে বলে মনে করে আইএমএফ।