সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিল্ডিং নির্মাণ কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। ২০২২ সালের শুরুতে ৩ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংটি তৈরি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ অসম্পূর্ণ রেখে পালিয়ে যাওয়ার কারণে এ প্রকল্পটি দীর্ঘ দিন ধরে স্থগিত রয়েছে। এতে সরাইল উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হাসপাতালের বর্তমান বিল্ডিংটি অত্যন্ত ছোট এবং সংকীর্ণ হওয়ায় রোগীদের সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। আউটডোরে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসে, কিন্তু যথাযথ স্থান সংকুলান না হওয়ায় গাদাগাদি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা ডা. মো. নিজাম উদ্দিন জানান, হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। নতুন বিল্ডিংটি ছয় তলা ফাউন্ডেশনে তিন তলা পর্যন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বর্তমানে এটি এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে হাসপাতালের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রোগীদের চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক রাখতে এবং পরিস্থিতি দ্রুত উন্নয়ন করতে দ্রুত বিল্ডিংটি নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
চিকিৎসা নিতে আসা ৫০ বছর বয়সী মাহফুজা জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে দেখে আসছেন যে, বিল্ডিংটির কাজ থেমে থেমে চলছে। তিন বছর আগে শুরু হওয়া এই কাজটির অগ্রগতি অত্যন্ত ধীর, এবং পরিস্থিতি এখন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। তেলীকান্দি গ্রামের কৃষক মজিদ (৫৫) বলেন, হাসপাতালের অভ্যন্তরে রোগীদের রাখার জন্য খুবই অল্প জায়গা রয়েছে। ফলে রোগীরা উপযুক্ত সেবা পাচ্ছে না। ছোট ছোট ঘরে রোগীদের ভরতি করা হচ্ছে, এবং রোগী নিয়ে লড়াই করার কোনও জায়গা নেই। তিনি দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানান।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের শুরুতে কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের অবহেলা এবং পালিয়ে যাওয়ার কারণে এটি শেষ হতে সময় লাগছে। এর ফলে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় রোগীরা কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্থানীয়রা দ্রুত বিল্ডিংটির কাজ শেষ করে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা চালু করার দাবি জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।