গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেন (৩২) কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দিঘিরপারের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে সিসি ফুটেজ যাচাই-বাচাই করে ইকবালকে চিহ্নিত করা হলেও পরিবার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এমনকি পুলিশও ধারণা করছে তৃতীয় কোনো পক্ষ তাঁকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে গতকাল পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেছেন, এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত সেটি জানতে তাঁরা ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারাও মনে করছেন, এ ঘটনাটি তৃতীয় কোনো পক্ষই ঘটিয়েছে। ইকবাল শুধু তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন।
এদিকে কে বা কারা এ তৃতীয় পক্ষ সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। কুমিল্লা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু বলেন, ‘আমি ঘটনার শুরু থেকেই বলে আসছি, যারা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে না, তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পেছনে তৃতীয় পক্ষের পরিকল্পনা রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিনই পূজামণ্ডপে যে কোরআন রেখে এসেছেন তাঁকে চিহ্নিত করা হয়। পরদিন ১৪ অক্টোবর রাতে ইকবালকে শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁর নাম প্রকাশিত হলে তখন থেকেই আলোচনায় আসছে ‘তৃতীয় পক্ষের’ বিষয়টি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।