বিস্ফোরক আইনে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
এহসান বিন মুজাহির জেলা প্রতিনিধি , মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: বুধবার ২৭শে নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
বিস্ফোরক আইনে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিস্ফোরক আইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মৌলভীবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে, আব্দুস শহীদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সাবেক মন্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গলবাসী সহ এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক মন্ত্রীকে দেখে উপস্থিত জনতা 'ভুয়া' ও 'চুর' ধ্বনি তোলে এবং তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২ নম্বর ভুনবীর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী মুজিবুর রহমানের নির্বাচনী পথসভায় হামলা চালানো হয়। ওই সময় মো. আব্দুস শহীদ ও তার সহযোগীরা দা, লাঠি, রড এবং ককটেল নিয়ে বিএনপি প্রার্থীর সভা ঘেরাও করেন এবং এলাকা ত্রাসে পরিণত করেন। হামলার সময় মুজিবুর রহমানকে খুন করার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়, তবে স্থানীয়দের সাহায্যে তার প্রাণ রক্ষা পায়। 


এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় ২৪ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন স্থানীয় যুবদল নেতা মো. আব্দুল আহাদ। মামলায় সাবেক মন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদকে প্রধান আসামী করে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের ৫৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকেও আসামি করা হয়েছে। বাদি অভিযোগ করেন, গত সরকারের সময় পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় তারা মামলা করতে পারেননি, তবে বর্তমানে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছেন।


মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, ৭ নম্বর রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী সহ আরও বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা অন্তর্ভুক্ত আছেন। 


এর আগে, ৩ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আব্দুস শহীদকে শ্রীমঙ্গল থানায় স্থানান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ভাংচুর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মৌলভীবাজারে চারটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।


এদিকে, সাবেক মন্ত্রীর রিমান্ড নিয়ে আইনজীবীরা দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।