কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে গত ২১ ডিসেম্বর দুইদিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশ। এ অভিযানে স্থানীয় জনগণ, সেন্টমার্টিনের শিক্ষার্থীরা, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডসহ সারা দেশের নানা পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন। অভিযানের আওতায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সমুদ্র সৈকত এবং অলিগলি থেকে প্রায় ১২০০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
অভিযানটি ছিল কেওক্রাডং বাংলাদেশের ১৩ তম উদ্যোগ। সংগঠনটির সদস্যরা সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন পয়েন্টে প্লাস্টিক বোতল, প্যাকেটসহ নানা অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করেন। সংগঠনের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, "ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বর্জ্য প্রায়ই জলাধারে চলে যায়, যা সমুদ্রের পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে। সেন্টমার্টিনের মতো একটি ছোট দ্বীপে এই বর্জ্য জমে গেলে তার পরিণতি শুধু দ্বীপে নয়, বঙ্গোপসাগরের অন্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের এই প্রচেষ্টা ছিল এই প্রভাবকে সীমিত করার জন্য।"
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসা করেন এবং বলেন, "সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে কেওক্রাডং বাংলাদেশের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর হাজারো পর্যটক আমাদের দ্বীপে আসে এবং স্থানীয় ও পর্যটকদের কারণে সৈকতে নানা ধরনের বর্জ্য জমে। এই ধরনের পরিচ্ছন্নতা অভিযান দ্বীপের সৌন্দর্যকে রক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।"
এছাড়া, সেন্টমার্টিনের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, "এটি কেওক্রাডং বাংলাদেশের ১৩ তম উদ্যোগ, যা ১৩ বছর ধরে সফলভাবে চলমান। এই ধরনের কর্মসূচি সেন্টমার্টিনকে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি পৃথিবীকে বর্জ্যমুক্ত করতে সাহায্য করবে।"
এ অভিযানটি সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি পর্যটকদেরও সচেতন করবে যে, পরিবেশ রক্ষা এবং সুরক্ষা আমাদের সকলের যৌথ দায়িত্ব। কেওক্রাডং বাংলাদেশ প্রতিবছর এই উদ্যোগটি নিয়ে আসলেও এবারের প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আরও বেড়েছে, যা এই উদ্যোগের সফলতা নিশ্চিত করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।