ছাগল-কাণ্ডে বিব্রত সরকারি কর্মকর্তারা, দুর্নীতিবাজরা আছেন ‘ভয়ে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: বুধবার ৩রা জুলাই ২০২৪ ১২:২২ অপরাহ্ন
ছাগল-কাণ্ডে বিব্রত সরকারি কর্মকর্তারা, দুর্নীতিবাজরা আছেন ‘ভয়ে’

ঈদুল আজহার আগে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণ। ভাইরাল হওয়া এই তরুণের বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা ড. মতিউর রহমান। 


ছাগলের পাশাপাশি ইফাত এই ঈদে ৭০ লাখ টাকার গরু কেনেন বলে তথ্য বের হয়ে আসে। লাখ টাকা বেতনে চাকরি করা কর্মকর্তার ছেলের ৭০ লাখ টাকার গরু  এবং ১৫ লাখ টাকার ছাগল কেনা নিয়ে সর্বত্র চলে আলোচনা-সমালোচনা। 


এরপর একে একে বেরিয়ে আসে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর এবং তার স্বজনদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ। তীব্র সমালোচনার মুখে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় সরকার। 


প্রথম শ্রেণির একজন কর্মকর্তার বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য সামনে আসার পর এসব সম্পদের উৎস নিয়ে দেখা দেয় নানা প্রশ্ন। এ কাণ্ডে বিব্রত অন্য সরকারি কর্মকর্তারাও। 


বিষয়টি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে কোনো কথা না বললেও চলছে কানাঘুষা। তারা বলছেন, ছাগল-কাণ্ডের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সমাজে বিব্রত হতে হচ্ছে। সরকারি চাকরিজীবীদের নিয়ে জনমনে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হচ্ছে।


মতিউর রহমানকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তার সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের তথ্য চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একটা ছাগল নিয়ে এত কিছু বের হয়ে আসবে তা কেউ ভাবেনি। এ ঘটনায় দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এসেছে। এটা নিয়ে আমরা বিব্রত হচ্ছি। আমাদের আত্মীয়-স্বজন আছে, তারা আমাদের নানা প্রশ্ন করছেন।