টেকনাফে মাদক আইস এবং ইয়াবা বোঝাই কাঠের নৌকাসহ দুই রোহিঙ্গা পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ধৃতরা হচ্ছে - উখিয়া উপজেলার বালুখালী ১৮নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-কে/২ এর বাসিন্দা মৃত আলী মিয়ার পুত্র মোঃ নুর কবির (৩০) এবং ১১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-জে/৩ এর বাসিন্দা মোঃ নুরুজ্জামানের পুত্র মোঃ রহিম উল্লাহ (২০)।
২রা মে (সোমবার) ভোর রাতে দিকে মিয়ানমার হতে মাদকের চালান আসার সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিশেষ একটি বিজিবি টহলদল হোয়াইক্যং ঝিমংখালী বিওপির আওতাধীন নাফনদী সংলগ্ন এলাকায় কৌশলী অবস্থান নিয়ে মাদকসহ তাদের আটক করে।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান পাচারের সংবাদে হোয়াইক্যং ঝিমংখালী বিওপির আওতাধীন নাফনদী সংলগ্ন এলাকায় কৌশলী অবস্থান করে বিজিব টহলদল। একপর্যায়ে ৩জন ব্যক্তি একটি কাঠের নৌকা নিয়ে মিয়ানমার থেকে শূণ্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশ সীমান্তে আসলে বিজিবি জওয়ানেরা তাদের দাঁড়ানোর জন্য চ্যালেঞ্জ করে সামনে এগুতে থাকে। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে একজন নাফনদীতে ঝাঁপ দিয়ে শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারে চলে যায়।
পরে স্পীডবোট নিয়ে ঘেরাও করে ১টি কাঠের নৌকাসহ উখিয়া উপজেলার বালুখালী ১৮নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-কে/২ এর বাসিন্দা মৃত আলী মিয়ার পুত্র মোঃ নুর কবির (৩০) এবং ১১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-জে/৩ এর বাসিন্দা মোঃ নুরুজ্জামানের পুত্র মোঃ রহিম উল্লাহ (২০) কে গ্রেফতার করে। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে নৌকার পাটাতন হতে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৭০হাজার টাকা মূল্যমানের ২ কেজি ৭১ গ্রাম আইস এবং ১০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার আরো জানান, এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে পৃথক মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত আইস ও ইয়াবাসহ ধৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।