
কাজ দেয়ার কথা বলে তরুণীকে আড়াই মাস ধর্ষণ ! স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪, ৩:৫০

কাজ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে এক তরুণীকে আড়াই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সিলেটের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন: সিলেট সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও নগরের লালদীঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা আবদুস সালাম (৪০), একই এলাকার আবদুল মনাফ (৩৮) এবং রেখা বেগম (৩০)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মঈন উদ্দিন সিপন। নির্যাতিত ওই তরুণী সিলেট মহানগরীর ঘাসিটুলার বাসিন্দা।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই তরুণী নগরীর শেখঘাটের একটি বোতল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীকে সিলেট শহরের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম লালদিঘীরপাড়ের আবদুস সালামের সঙ্গে তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দেন। আবদুস সালাম ‘ভালো কাজ’ দেয়ার প্রলোভন দেখান তরুণীকে।

গত ৭ জানুয়ারি রেখা বেগম ‘ভালো কাজের’ কথা বলে তরুণীটিকে আবদুস সালামের লালদিঘীরপাড়ের বাসায় নিয়ে যান। পরে বাসার একটি রুমে আটকে রেখে আবদুস সালাম তাকে ধর্ষণ করেন। পরিবারের সদস্যরা সিলেট নগরীর বাসায় ফিরে তরুণীকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে থানায় জিডি করতে চাইলে রেখা বেগম বাধা দিয়ে তাদের আবদুস সালামের কাছে নিয়ে যান। আবদুস সালাম তরুণীকে উদ্ধারের ব্যাপারে আশ্বাস দেন।

কয়েকদিন পর পরিবারের সদস্যরা আবারও আবদুস সালামের কাছে গেলে তিনি জানান যে, লন্ডন প্রবাসী একটি পরিবারের কাছ থেকে তরুণীটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় লন্ডন প্রবাসী পরিবারের পরিচয় জানতে চাইলে আবদুস সালাম ক্ষেপে যান। কিন্তু তরুণী আবদুস সালামের ধর্ষণের কথা বলে দিলে তিনি তাকে প্রাণনাশের হুমকি ও বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ ঘটনার ৩ দিন পর আবদুস সালাম বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যান। পরে মামলার আসামি আবদুল মনাফের মাধ্যমে তাকে হবিগঞ্জে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে তাকে আবদুস সালাম ও আবদুল মনাফসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন ধর্ষণ করেন। সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে তরুণীকে উদ্ধার করে আনা হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন সিপন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

