বরগুনার বেতাগীতে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে দু'পা বিচ্ছিন্নের চেষ্টা করা হয়েছে। আর এ অভিযোগ উঠেছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় সদর ইউনিয়নের বাকাপুল নামক স্থানে এ ঘটনা। এ ঘটনার পর উত্তপ্ত বেতাগী। গুরুতর আহত অবস্থায় বেতাগী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. টুটুল খান (৩২) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজে (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জসিম খান বলেন, টুটুল জরুরি কাজে তার শ্বশুরবাড়ি এলাকায় যান। সেখানে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত মো. রফিকুল ইসলাম রফিক ও তার সমর্থকরা টুটুলের ওপর অতর্কিত হামলা করে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে টুটুলের দু'পা বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে। হামলার সময় টুটুল একাই ছিলেন। আর আর রফিক ৮-১০ জনের দুর্বৃত্তের দল নিয়ে হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে টুটুল মারাত্মক আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তখনও তার জ্ঞান ছিল। ঘটনার কিছুটা বর্ণনা দিতে গিয়ে জ্ঞান হারায় সে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেছি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসক জানিয়েছেন প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, কে বা কারা এ হামলা করেছেন তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। রফিক আরো বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি পারিবারিক কাজে এলাকার বাইরে আছেন।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকা সকলকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে বেতাগীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।