ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় সুদখোরদের অত্যাচার বৃদ্ধি পাওয়ায় পুলিশ সাড়াশি অভিযান শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার শৈলকূপার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত ৬ সুদ কারবারিকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন শৈলকূপার হরিহরা গ্রামের মৃত আব্দুল বিশ্বাসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহিমপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মোল্লার ছেলে আমজাদ হোসেন মোল্লা, বারইপাড়া গ্রামের মৃত আবুল শেখের রহিম শেখ, শেখপারা গ্রামের শহর আলী শেখের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান, ভাটই বাজারের আব্দুস সালামের পলাশ হোসেন ও চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে পিয়ার আলী।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, কয়েকবছর ধরে শৈলকুপা শহরসহ গ্রামগঞ্জে সুদ কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরা এক লাখ টাকার বিপরীতে সুদ হিসাবে সপ্তাহে ৮ থেকে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এতে করে অনেকে তাদের আসল টাকা তো দূরে থাক জীবদ্দশায় সুদের টাকায় পরিশোধ করতে পারে না।
পরবর্তীতে তারা কৌশলে আসল আর সুদ একসাথে মিলিয়ে টাকা ধার হিসাবে ষ্ট্যাম্পে লিখে নেয়। কখনো কখনো ব্যাংকের বøাঙ্ক চেকও নিয়ে থাকে। ফলে সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে কিছু করার থাকে না। সুদখোরদের চাপে এক সময় গ্রহীতারা বাপদাদার ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায় নতুবা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। সুদখোরদের অত্যাচের আত্মহত্যার ঘটনা বৃদ্ধির ঘটনায় পুলিশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
পুলিশ বিষয়টি নিবিড় ভাবে তদন্ত চালিয়ে জেলাব্যাপী সুদি কারবারিদের তালিকা তৈরী করে অভিযানে নেমেছেন।
বিষয়টি নিয়ে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই এই জনপদে সুদ কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। তাদের বিরুদ্ধে দ্রæত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ওসি জানান।
এদিকে সুদখোরদের বিরুদ্ধে অভিযান দ্রুত জেলাব্যাপী চালানোর জন্য সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা অনুরোধ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।