চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মাদারীপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তের নাম সাইফুল আলম বাবুল সরদার। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।  


ভুক্তভোগীর স্বজন ও পুলিশ সূত্র জানায়, ছিলারচর ইউনিয়নে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল আলম বাবুল সরদারের ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলো ভুক্তভোগীর পরিবার। গতকাল পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা প্রতিদিনের কাজে বের হয়ে গেলে ঘরে একাই ছিলো ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী। এসময় একা পেয়ে সুযোগ বুঝে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে আসার পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে রাতে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।  


ভুক্তভোগীর নানী বলেন, আমার নাতনি চেয়ারম্যানকে নানা বলে ডাকতো। সে এই কাজ জঘন্য কাজ কীভাবে করলো। আমরা এর কঠিন বিচার চাই।


কিশোরীর বাবা বলেন, আমরা মেয়েটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। আমি শহরে একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, আমার স্ত্রীও একটি স্কুলে চাকুরী করে। আমরা কাজে বের হয়ে গেলে আমার মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে বাবুল চেয়ারম্যান নির্যাতন করেছে, আমরা তার ফাঁসি চাই।  


নারী ও কিশোরীদের সংগঠন বসুন্ধরা সেবা সংস্থার সভাপতি লাইজু আক্তার বলেন, আমাদের সমাজে এর চাইতে জঘন্য কাজ হতে পারে না। একজন জনপ্রতিনিধির হাত থেকে প্রতিবন্ধী মেয়ে রেহাই না পায়, তাহলে নারীরা কোথায় নিরাপদে থাকবে। এই ঘটনায় প্রশাসনের কাছে একটাই দাবী, ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

 

মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শিহাব চৌধুরী বলেন, মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে গাইনী চিকিৎসক তার আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রিপোর্ট দিবে।


তবে ঘটনা অস্বীকার করে তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত বাবুল সরদার। তিনি বলেন, ওই মেয়েটির পরিবার আমার বাড়িতে ভাড়া থাকে। তার বাবা বিদেশ যাবার কথা বলে আমার কাছে টাকা ধার চেয়েছিল। আমি ওই টাকা না দেওয়ায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।  


এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, আমরা এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভিকটিম আমাদের হেফাজতে আছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা চললাম রয়েছে।