গোয়ালন্দে ছাগল চুরির কাজে ব্যবহৃত পিকআপসহ তরুণ গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ১৪ই আগস্ট ২০২২ ১২:০৪ অপরাহ্ন
গোয়ালন্দে ছাগল চুরির কাজে ব্যবহৃত পিকআপসহ তরুণ গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ছাগল চুরিতে ব্যবহৃত একটি চোরাই পিকআপসহ চোর চক্রের সদস্য এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।


গ্রেপ্তারকৃত আসামী নরসিংদী জেলার ব্রাক্ষনপাড়ার সাগর ঘোষের ছেলে আনন্দ ঘোষ (১৯)। তাকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নরসিংদী জেলার সদর থানার নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


শনিবার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে এক এজহারের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নরসিংদী জেলার সদর থানার নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার দেয়া তথ্যমতে শুক্রবার সকাল ৮ টার সময় নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার ভগিরথপুর এলাকার মোঃ রাজাউল ভুইয়ার গাড়ির গ্যারেজ থেকে চোরাই কাজে ব্যাবহৃত একটি নীল রংয়ের নাম্বার বিহীন Tata ex2 মডেলের ছোট পিকআপ (ট্রাক) উদ্ধার করে পুলিশ।


জানা যায়, সুলাইমান হোসেন (৪৫), বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, সুলাইমান হোসেন ও তার ব্যবসায়ীক পার্টনার রশিদ মন্ডল ছাগল ব্যবসায়ী। সুলাইমান ও আমার ব্যবসায়ীক পার্টনার রশিদ মন্ডল দৌলতদিয়া হোসেন মন্ডল পাড়াস্থ খবির মাঝির নিকট থেকে গত ১০/০৭/২০২২ তারিখ রাত্র অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় বড় আকৃতির ১০ টি খাসি ছাগল ও মাঝারি আকৃতির ০৩ টি ধারী ছাগল সর্বমোট ১৩ টি ছাগল, মূল্য অনুমান ১,৯২,০০০/- টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। উক্ত ছাগল গুলো ঢাকায় নেওয়ার জন্য তিনি ও তার পার্টনার রশিদ মন্ডল দৌলতদিয়া বাজারস্থ রেল গেইট হতে একটি পিকাপ ভাড়া করে। পিকাপ ড্রাইভারকে গোয়ালন্দঘাট থানাধীন হোসেন মন্ডল পাড়া সাকিনস্থ সমীর শেখের মুদিখানা দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর আসতে বলে।


 পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা ০৩ জন পিকাপ নিয়ে উক্ত স্থানে আসলে ইং-১১/০৭/২০২২ তারিখ রাত্র অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় তিনি ও তার পার্টনার রশিদ মন্ডল উক্ত পিকাপে তাদের ছাগল গুলো লোড করে। ইং-১১/০৭/২০২২ তারিখ রাত্র অনুমান ০১.২০ ঘটিকার সময় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় তিনি ও তার পার্টনার রশিদ মন্ডলকে পিকাপে রেখে খবির মাঝির বাড়ীতে সুলাইমানের মোবাইল আনতে যায়। সুলাইমান মোবাইল আনতে যাওয়ার পরে তার পার্টনার রশিদ মন্ডল ছাগলের জন্য খাবার আনতে যায়। 


পরবর্তীতে একই তারিখ রাত্র অনুমান দেড়টার সময় তিনি ও তার পার্টনার রশিদ মন্ডল পিকাপ রাখা স্থানে এসে দেখে তাদের ছাগল লোড করা পিকাপটি নাই। রশিদ মন্ডল ও সুলাইমান তাদের মোবাইল নম্বর থেকে আসামীর নম্বরে একাধিক বার ফোন করলে ফোন নম্বর বন্ধ পায়। এছাড়াও আশ পাশের এলাকায় অনেক খোঁজা খুঁজির পর তারা বুঝতে পারে ১১ জুলাই রাত্র অনুমান সোয়া ১টা হতে একই তারিখ রাত্র অনুমান দেড়টার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা ০৩ জন আসামীরা উক্ত ছাগল গুলো চুরি করে পিকাপ যোগে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে চলে গিয়েছে। পরবর্তীতে তিনি ও তার পার্টনার রশিদ মন্ডল বিভিন্ন স্থানে তাদের ছাগল গুলো আরও খোঁজা খুঁজি করে, কিন্তু কোথাও খুঁজে পায়নি। অজ্ঞাতনামা ০৩ জন আসামী করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।


গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, সুলাইমান হোসেনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য থানা পুলিশ তৎপরতা চালায়। বাদীর দেয়া মোবাইল নাম্বার ট্রাক করে আসামীকে গ্রেপ্তারসহ চোরাইকাজে ব্যাবহৃত পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে  এছাড়াও আসামীকে শনিবার দুপুরের পরে রাজবাড়ীর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়।