ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গভীর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন থেকে টিসিবির পণ্য সরানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদুর দুই সহকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে কালীগঞ্জের সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদে।
গ্রামবাসি জানায়, রাত ১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের গেট খুলে টিসিবির পণ্য ভ্যানে তুলে সরানোর সময় ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সামছুল হক ও একই গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল খালেক ধরা পড়ে। ঘটনার সময় ইউপি সদস্য আবুল বাশার, সজল হোসেন ও কওসার আলী উপস্থিত ছিলেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা লিয়াকত আলী খান লিটন উপস্থিত হয়ে টিসিবির পণ্যগুলো আবারও ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে রেখে আসেন। টিসিবির পন্য সরানোর ভিডিও রাতেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিক্রি করেন সাহাবুদ্দিন ট্রেডার্স। ওই দিন ৯৯৩ জন কার্ডধারীর মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হয়। বাকী মালামাল পরিষদের ভবনে ছিল। এ বিষয়ে ভ্যান চালক আব্দুল খালেক জানান, চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু তাকে টিসিবির মালামাল নিতে পাঠিয়েছিলেন। এ জন্য তিনি এসেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ রওনক হোসেন জানান, মধ্যরাতে চেয়ারম্যান তাকে ফোন করে পণ্যগুলো নিয়ে আসতে বলেন।
তিনি চেয়ারম্যানের নির্দেশে কক্ষের তালা খুলে ভ্যানে উঠিয়ে দেন। তিনি ছাড়াও গ্রাম পুলিশ আলাউদ্দিন ও সামছুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। টিসিবির ডিলার সাহাবুদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক মো: সাহাবুদ্দিন জানান, গত ১৬ আগস্ট তিনি সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নে ৯৯৩ জন কার্ডধারীর মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান কিভাবে এই পণ্য ইউনিয়ন পরিষদে রেখেছেন সেটি তিনি জানেন না।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা লিয়াকত আলী খান লিটন জানান, রাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার তাকে ফোন করে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। এসময় তিনজন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় জনতা ও ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে টিসিবির পণ্যগুলো আবার ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে রেখে আসেন।
এ ব্যাপারে জানতে ১নং সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদুকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন বুধবার জানান, এ বিষয়ে প্রথম সাংবাদিকদের কাছেই শুনলাম। খোঁজখবর নিয়ে আপনাদের জানাবো।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।