প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২২, ১:৪০
কুয়াকাটায় বাস শ্রমিকদের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছে পর্যটক দম্পত্তি। এসময় ভিডিও করার অপরাধে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে আছড়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ছিনিয়ে নেয়া হয় স্বর্ণের চেইন। নরসিংদীর বাবুর হাট থেকে আগত রুবেল নামের এক ব্যবসায়ী তার পরিবারের আট সদস্যকে নিয়ে বরিশাল থেকে বাসে কুয়াকাটা আসেন।
বাসের দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাস স্টাফদের গালাগাল ও পরে কুয়াকাটায় পৌঁছে বাস থেকে নামার সময় হামলা মারধরের মত ঘটনা ঘটে। রেহাই পায়নি ওই পর্যটক পরিবারের নারী সদস্যরাও। মারধরের একপর্যায় পর্যটক রুবেলের আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার বিকেল তিনটার দিকে এই হামলা চালানো হয়। আহত পর্যটকরা হচ্ছেন, মোঃ রুবেল, রিপন মাহমুদ ও মোসাম্মৎ হনুফা বেগম।
হামলার শিকার রুবেল জানান, তারা পারিবারিকভাবে শিশু সন্তানসহ ৮জন বরিশাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ‘ছন্দা’ নামের (পটুয়াখালী-ব-৩১-০০৪৫) বাসে বেলা ১১টার দিকে ওঠেন। পথিমধ্যে রুবেলের সঙ্গে থাকা তার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে তার নির্ধারিত সিটে ওই শিশুকে শুইয়ে রেখে নিজে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বাসের কন্ডাক্টর এসে দাঁড়িয়ে থাকলে একজনের বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে বলে উচ্চবাক্য বিনিময় করেন।
এ ঘটনার কিছু অংশ ভিডিও করেন রুবেল এবং পাশের সিটে বসা পর্যটক লক্ষ্মীপুর থেকে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা ওই বাসের যাত্রী রিপন মাহমুদ। কন্ডাক্টর মোবাইল ফোনে ভিডিও করায় হুমকি দিয়ে চুপ থাকেন। বিকেলে বাসটি কুয়াকাটায় এসে থামতেই বাস শ্রমিকরা সংঘবদ্ধভাবে পর্যটক পরিবারটির ওপর হামলে পড়ে। ভিডিও করার অপরাধে মারধর করা হয় পর্যটক রিপন মাহমুদকেও।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহিপুর থানার এসআই মোজাম্মেল গিয়ে বাসের চালক মোঃ কামাল ও সুপারভাইজার জামালসহ ওই পর্যটকদের থানায় ডেকে নেয়। বাস চালক কামাল হামলার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।
রুবেল জানান, তাকে মারধর করে স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নিয়ে গেছে। মোবাইল ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পর্যটক পরিবারটি লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি, তবে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।