কক্সবাজারের মহেশখালীতে স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের বিচার চাইতে গিয়ে যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন এক গৃহবধূ। ভুক্তভোগী নারী সোমবার (২৭ জুন) কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্বাসসহ দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার মোজাহের বলি ওরফে মুজুবলির ছেলে হাবিব উল্লাহ (২০), ফকিরজুম পাড়ার মো. আমিনের ছেলে মো. আব্বাস (৩২)। এর মধ্যে আব্বাস ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মাতারবাড়ির বাসিন্দা ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কালারমারছড়া ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক মনোমালিন্য চলছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্বাস উদ্দিন উদ্দিনের কাছে বিচার দেয়। কিন্তু ২২ জুন ৫টার দিকে সিএনজিযোগে ফকিরজোম পাড়ার ফরেস্ট অফিসের সম্মুখে ওই নারী পৌঁছলে মো. আব্বাস ও তার সহযোগী হাবিব উল্লাহ সিএনজি থামিয়ে তার স্বামী পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে অবস্থান করছে বলে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ওই নারী দেখেন তার স্বামী নেই। এরপর ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে দুজনে ধর্ষণ করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এরপর বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে পরবর্তীতে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
সম্প্রতি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্বাস র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাভোগের পর পুনরায় ধর্ষণের মতো অপরাধের ঘটনা সংঘটিত করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অপরদিকে তার সহযোগী হাবিব উল্লাহও একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধেও মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।