বগুড়ার গাবতলীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পরিচয়ে চাকরি দেবার নাম করে চার লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর নাম জরিনা বেগম (২৮)। তিনি গাবতলী উপজেলার তেরপাখি গ্রামের বিকুল হোসেনের স্ত্রী। সোমবার দুপুরে উপজেলার তেরপাখি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, জরিনা বেগম নিজেকে গাবতলীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিপ্তী রানীর পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে উপজেলার নিশ্চিতপুর গ্রামের বিপ্লব দাসের অনার্স পাস স্ত্রী বিনা রানী দাসকে মাস্টাররোলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে চাকরি দেওয়ারর কথা বলে দুই দফায় এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
পরে রিনা রানী নিয়োগপত্র চাইলে তিন মাস পর দেওয়া হবে বলে জানান। তখন রিনা রানী উপজেলা সদরে গিয়ে ইউএনওর নাম দিপ্তী রানী কি-না জানতে গেলে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। কারণ গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম রওনক জাহান। পরে বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে এমন প্রতারিত হবার আরো অনেক ঘটনা বেরিয়ে আসে।
এর আগেও জরিনা বেগম তেরপাখি গ্রামের আসমা খাতুনের (২০) কাছ থেকে চাকরি দেবার কথা বলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, একই গ্রামের গোলাপী বেগমের (৪৫) ঘর ও ছাদ নির্মাণের কথা বলে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা, পিয়ারা বেগমের (৫০) কাছ থেকে ঘর নির্মাণের কথা বলে ৪০ হাজার টাকা, ধনঞ্জয় গ্রামের পান্না বেগমের কাছ থেকে ৫ হাজারসহ আরো অনেকের কাছ থেকে মোট ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
এ ঘটনায় রিনা দাসের স্বামী বিপ্লব দাস বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে থানায় মামলা দায়ের করেন।
গাবতলী থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, জরিনা বেগম নিজেই ইউএনও সেজে ফোন করেন এবং নিজেই গিয়ে টাকা আনেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।