অবশেষে জট খুললো মাদারীপুরের কালকিনিতে নিজ ঘর ঢুকে এসএসসি পরীক্ষার্থী জহিরুলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার। বন্ধু নুরুজ্জামানের গোপন ভিডিও ধারণ করার কারনেই জহিরুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেছে পুলিশ সুপার। ঘটনার ৮দিন পর একমাত্র অভিযুক্ত বন্ধু নুরুজ্জামানকে রাজধানীর শ্যামপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুরের কালকিনির মহরুদ্দিরচর এলাকায় নিজ ঘর থেকে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয় এসএসসি পরীক্ষার্থী জহিরুল সরদারের।
এই ঘটনায় নিহতের বড়ভাই শাহীন সরদার অজ্ঞাতদের আসামী করে কালকিনি মামলা করলে থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলার গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নামে। ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর শ্যামপুর থেকে বুধবার রাতে বন্ধু নুরুজ্জামান ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয় নিহত জহিরুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।
পরে এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, নুরুজ্জামানের একটি গোপন ভিডিও ধারণ করার কারনেই জহিরুলকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে গ্রেফতারের পর তাকে পাঠানো হয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। সেখানে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় অভিযুক্ত নুরুজ্জামান।
তিনি জানান, জহিরুল ও নুরুজ্জামান এক পতিতার সাথে মেলামেশা করত। পতিতার সাথে মেলামেশার গোপান ভিডিও করে রাখে জহিরুল। এই ভিডিও দেখিয়ে নুরুজ্জামানকে মানসিক চাপে রাখে জহিরুল। একারনে ভিডিও উদ্ধারের জন্যই জহিরুলকে হত্যা করে বলে জানান।
নিহত জহিরুল সমিতিরহাট আবা খালেক মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। তার বাবা বারেক সরদার কাতার প্রবাসী।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।