বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গভীর রাতে সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাট করেছে দস্যুরা।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) গভীর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বুধবার (২ মার্চ) বিকেলে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, ‘ডিপ্লোমাপড়ুয়া ছেলে ও আমরা স্বামী-স্ত্রী রাতে খেয়ে যে যার রুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। গভীর রাতে সিঁদ কেটে একটি দস্যুদল আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। প্রথমেই আমাদের সবার হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে তারা। পরে তারা আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। তারা দুই ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং আমার ছেলের মুঠোফোন নিয়ে যায় তারা। তারা চারজন ছিল। তাদের হাতে বড় বড় ধারালো দা ছিল। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
নির্যাতিত ওই নারীর ছেলে বলেন, ‘আমরা আলাদা কক্ষে ঘুমিয়েছিলাম। রাতে ঘরে আমাকে এবং বাবা-মাকে আলাদা করে বেঁধে ফেলে দস্যুরা। মা চিৎকার দিলে তারা মাকে চড় মারে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সোহেল রানা কামাল বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেনি। পরিবারটি খুবই নিরীহ। এদের ওপর এমন অত্যাচার আসলেই খুবই ন্যক্কারজনক। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।’
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে মালামাল লুটের বিষয়টি শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তিনি বলেন, ‘ওই নারীর অভিযোগ দস্যুরা তাকে ধর্ষণ করেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’ অপরাধীদের শনাক্তে পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।