নওগাঁয় আলোচিত তিন খুন: আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: সোমবার ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৩০ অপরাহ্ন
নওগাঁয় আলোচিত তিন খুন: আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি

নওগাঁর বদলগাছীতে আলোচিত তিন খুনের মামলার সকল আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার  দিকে নওগাঁ শহরের সার্কিট হাউজ চত্বর এলাকায় প্রধান সড়কের পাশে বদলগাছির উজালপুর গ্রামের সচেতন নাগরিক ও নিহতদের পরিবারবর্গের ব্যানারে ঘন্ট্যাবাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।


মানববন্ধনে বক্তারা এ হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িত আসামীদের ফাঁসি, পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার ও তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান। এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান, মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সচেতন নাগরিক ও নিহতদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও সাধারণ মানুষসহ ৩ শতাধীক মানুষ অংশ নেয়।


মানববন্ধনে ওই মামলার বাদী মো.ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘২০১৪ সালের ৬ জুন নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার উজালপুর গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে আমার বাবা, চাচা এবং মামাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত মামলার আসামী স্থানীয় হাসেম আলী ওরফে হাসেন, সাইদুল, আইজুল, জালাল, জাহেদ, সোহাগ এবং হেলালসহ অন্যান্য সকল আসামীদের ন্যায়বিচার ও ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। এ রকমভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে একসাথে তিনজনকে খুনের ঘটনায় স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ।‘


নিহতের স্বজনরা বলেন, ‘পরিকল্পিত ভাবে তাদের স্বজনদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সাত আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। বাঁকী আসামীদের গ্রেপ্তাসহ ফাঁসির দাবি জানানো হয়।‘ 


মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ‘জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উজালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম দুলু, আমজাদ হোসেন ও আব্দুল ওয়াদুদের পরিবারের সাথে প্রতিপক্ষের বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে ২০১৪ সালের ৬ জুন বিকাল ৩টার দিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একই গ্রামের হাসেম আলী, ছাইদুল, আইজুল, জালাল, হেলাল, বেলাল, জায়েদ গংরা হামলা চালিয়ে তাদের তিনজনকে আহত করে।


পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় শহিদুল ইসলাম দুলু, আমজাদ ও আব্দুল ওয়াদুদকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫ টায় শহিদুল ইসলাম দুলু মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমজাদ ও আব্দুল ওয়াদুদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টায় আমজাদ এবং পরদিন ৭জুন সকাল সাড়ে ৬টায় আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। 


এঘটনায় নিহত শহিদুল ইসলাম দুলুর ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে ২৪ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ সাতজনক গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। ২৪ জন আসামির মধ্যে ইতোমধ্যে দুইজন মারা গেছে। বাকিঁ আসামীরা পলাতক রয়েছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।