জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সৃষ্ট সংঘর্ষে দুলা ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত শ্যালক পিয়াস মিয়া (১৯) সোমবার গভীর রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে আহত চিকিৎসাধীন দুলা ভাই সুনু ফকিরকে আটক করেছে। পিয়াস নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার বানিয়াগাতি গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর ইকবালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পিয়াসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বানিয়াগাতি গ্রামের মজু মিয়ার মেয়ে হেনা আক্তারকে পাশ^বর্তী শ্রীরামপাশা গ্রামের মৃত লালু ফকিরের পুত্র সুনু ফকিরের সাথে বিয়ে দেয়া হয়।
সম্প্রতি জমির ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে মা রোমেলা আক্তারের সাথে মেয়ে হেনা আক্তারের বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় শ্রীরামপাশা গ্রামে মা রুমেলা আক্তার (৫০) ও মেয়ে হেনা আক্তারের (৩০) ঝগড়া শুরু হয়। খবর পেয়ে রুমেলা আক্তারের ছেলে পিয়াস মিয়া ও হেনা আক্তারের স্বামী সুনু ফকির ঘটনাস্থলে পৌছে তারাও ঝগড়া ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
মারামারির এক পর্যায়ে দুলা ভাই সুনু ফকিরের (৪৫) হাতে থাকা ছুরি দিয়া শ্যালক পিয়াস মিয়ার (১৯) গলায় আঘাত করলে সে মারাত্মক আহত হয়। আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত পিয়াস মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সুনু ফকির ও হেনা আক্তারকে নেত্রকোনা হাসপাতালে প্রেরণ করে। গুরুতর আহত পিয়াস ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর ইকবাল ময়মনসিংহ হাসপাতালে পিয়াসের মৃত্যুর খবর পেয়ে নেত্রকোনা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদের সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সনু ফকিরকে আটক করে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।