অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা এক পরিবারের দু’সদস্যকে অজ্ঞান করে শৌচাগারের জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দু’জনকে পিটিয়ে জখম করে মালামাল লুটপাটের চেষ্টা চালিয়েছে। শনিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাত আইটার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত দু’জনের মধ্যে রয়েছে আলহাজ্ব মোরশেদ আলী গাজী ( ৮৫) ও তার পুত্র বধু স্কুল শিক্ষিকা আনোয়ারা খাতুন।
আহতদের প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলে মোরশেদ আলী গাজীকে কালীগঞ্জের সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও আনোয়ারা খাতুনকে সাতক্ষীরার সংগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। গোবিন্দপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, রতনপুর বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার মালিক তিনি। কয়েকদিন ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দুর্বত্তরা তার বাড়িতেই টাকা আছে ভেবে শনিবার গভীর রাতে তার বাড়িতে এসে চেতনানাশক স্প্রে করে তার বাবা মোরশেদ আলী গাজী (৮৫) ও ছেলে তরিকুল ইসলামকে অজ্ঞান করে ফেলার চেষ্টা করে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, এরপর রাত আড়াইটার দিকে অজ্ঞান পার্টি চক্রের তিন সদস্য শৌচাগারের জানালা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢোকে। চিৎকার করায় ওই চক্রের সদস্যরা তার ছেলে তরিকুল ও বাবা মোরশেদ আলীকে মারিপট করে। এ সময় তারা বাবার ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে তাদের উপর হামলা করে। চিৎকার করায় তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তার আলমারির ড্রয়ার খুলে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে রাত থানার উপ পরিদর্শক গোবিন্দ আকর্ষন ঘটনাস্থলে যেয়ে তার বাবা ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাবাকে কালীগঞ্জ সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও স্ত্রীকে সাতক্ষীরার সংগ্রাম ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে উপপরিদর্শক গোবিন্দ আকর্ষণকে পাঠানো হয়। এখনও পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের নিকট হইতে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।