সৌম্যের বিয়েতে মোবাইল চুরি, মারামারি
জমকালো আয়োজনের মধ্যে ঢাক-ঢোল কাশীর বাদ্য বাজিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। বুধবার রাতে অভিজাত খুলনা ক্লাবে সৌম্য-পূজার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এই আনন্দঘন পরিবেশ ঘন্টা যেতে না যেতেই বিষাদে রূপ নেয়।
বিয়েতে মোবাইল ফোন চুরি কেন্দ্র করে হইচই, হাতাহাতি এমনকি মারধরের শিকার হন সৌম্যের পরিবারের কেউ কেউ। রাত ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত খুলনা ক্লাবে চলে এই অবস্থা। এতে সৌম্যর বড় ভাইসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আর তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সৌম্যর পরিবারের সদস্যরা জানান, সৌম্যর বাবা কিশোরী মোহন সরকার, বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্র ও সৌম্যর বন্ধু অলিসহ সৌম্যর স্বজনদের সাতটি মোবাইল চুরি হয়। এ সময় সৌম্যর মেজো ভাই ইনকাম ট্যাক্সের ডেপুটি কমিশনার প্রনব কুমার সরকার খুলনা ক্লাবের কর্মচারীদের মোবাইল চুরির বিষয়ে অবহিত করেন এবং চোরদের ধরতে যান।
এ সময় চোরদের পক্ষ হয়ে ক্লাবের কয়েকজন কর্মচারী ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। প্রণব ও অলিদের উপর ক্লাবের কর্মচারীরা দফায় দফায় হামলা চালান। এতে তারা আহত হন। ফলে থমকে যায় পুরো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। ওই সময়ে সাত পাকে ঘুরছিলেন বর সৌম্য। যে কারণে তিনি উঠে আসতে পারেননি।
সৌম্য সরকারের মামা স্বদেশ কুমার সরকার বলেন, প্রচণ্ড ভিড়ে গেট থেকে ঢোকার সময় দ্বীনবন্ধু মিত্রের মোবাইল চুরি হয়ে যায়। এর পর সৌম্যর বাবা, বন্ধু অলিসহ বড় যাত্রীদের সাতটি মোবাইল চুরি হয়। চোরদের হাতে নাতে ধরে ফেললে খুলনা ক্লাবের কর্মচারীরা আমাদের উপর হামলা করে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মোবাইল চুরি হওয়ার পর হারানো মোবাইল নাম্বারে ফোন দেন সৌম্যের স্বজনরা। তখন একজনের কাছে মোবাইল বেজে উঠে। তাকে ধরলে তার কাছে পাঁচটি মোবাইল পাওয়া যায়। এ নিয়ে গণ্ডগোলোর সূত্রপাত। এদিকে ঘটনার পর খুলনা ক্লাবে বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মীরা অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন লোকজন সৌম্যের অভিভাবকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। উল্লেখ্য, খুলনার টুটপাড়ার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে খুলনা ক্লাবেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। পাঁচশ বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে আসেন সৌম্য।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।