কাঠমাণ্ডুতে এশিয়ান গেমসের (এসএ) ১৩তম আসরে সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন হুমায়রা আক্তার অন্তরা। তবে সেটি ছিল ব্রোঞ্জ। এবার সেরা পুরস্কার সোনা জয়ের সুখবর দিলেন দিপু চাকমা। তায়কোয়ান্দোতে এই পুরস্কারটি জেতেন তিনি। তায়কোয়ান্দোতে ছেলেদের এককে পুমসায় ২৯ অথবা এর বেশি ওজনে ভারতের প্রতিযোগীকে হারিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সোনা জেতান রাঙামাটির ছেলে দিপু। তায়কোয়ান্দো ইভেন্টে আসরের প্রথম স্বর্ণ জিতেছে বাংলাদেশ। দিপু চাকমা এই ইভেন্টে বাংলাদেশের পতাকা তুলেছেন সবার উপরে।
তায়কোন্দোর ২৯ বা তার বেশি বয়সী পমাসি ক্যাটাগরিতে স্বর্ণ জিতলেন দিপু। স্বর্ণ জেতার পথে দিপু স্কোর করেন ১৬.২৪। তিনি পরাজিত করেন শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের প্রতিযোগীদের। এমন অর্জনের পর প্রতিক্রিয়ায় আবেগে আত্মহারা দিপু, ‘আমি এখনো ঘোরের মধ্যে আছি। বিশ্বাস করতে পারছি না যে স্বর্ণ জিতেছি। অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’ দিপু ছাড়াও তায়কোয়ান্দো থেকে এদিন আরও দুটি ব্রোঞ্জ জিতেছে বাংলাদেশ। ১৩তম এসএ গেমসের দ্বিতীয় দিনে তিন ব্রোঞ্জ আর এক স্বর্ণসহ এখন পর্যন্ত ছয়টি পদক জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা।
এবার সর্বোচ্চ পদক জয়ের আশা নিয়ে নেপাল গিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। বাংলাদেশ এবার পাঠিয়েছে ৫৯৫ সদস্যের বিশাল বহর। এদের মধ্যে ক্রীড়াবিদ ৪৬২ জন এবং কর্মকর্তা ১৩৩ জন। একটি ডিসিপ্লিন (ট্রাইলথন) বাদে বাকি সবকটিতে অংশ নিচ্ছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এর আগে বাংলাদেশকে প্রথম পদক এনে দেন অন্তরা। কারাতের কাতা একক ইভেন্টে তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছেন পাকিস্তানের শাইদা। আর দ্বিতীয় হয়ে রোপ্য পদক জেতেন স্বাগতিক নেপালের এক প্রতিযোগী। ছেলেদের একক কাতায় বাংলাদেশের হাসান খান ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
১ ডিসেম্বর এসএ গেমসের ত্রয়োদশতম আসর শুরু হয়। এবারে ২৬টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ২৫টিতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এই আসরে বাংলাদেশের পদক বিজয়ী প্রত্যেক ক্রীড়াবিদের জন্য আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। চলমান আসরে গলফ ও কারাতে নতুন ইভেন্ট হিসেবে সংযোজন করা হয়েছে। এর আগে জাঁকালো আয়োজন করে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ক্রীড়া আসর এসএ গেমসের উদ্বোধন করেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি।
তৃতীয়বারের মতো এসএ গেমসের স্বাগতিক দেশ হিসেবে খেলছে নেপাল। এর আগে ১৯৮৪ সালে প্রতিযোগিতার প্রথম আসরও আয়োজন করেছিল তারা। এরপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজক হয়েছিল দেশটি। এবার প্রতিযোগিতায় ২৬টি ডিসিপ্লিনে ২ হাজার ৭১৫ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিচ্ছে। কর্মকর্তা, কোচ, স্টাফ মিলিয়ে এবার অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।