ব্যাটসম্যানদের একের পর এক উইকেট হারানোর মিছিলে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও কথা বলেছে তার ব্যাট। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১২৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি করার পর দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে বিদায় নিলেন ৭৪ রান করে। দিনের শেষ উইকেট ছিলেন তামিম ইকবালই। এরপর আর ভুল করলেন না সৌম্য সরকার আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তৃতীয় দিনের শেষ অংশটা তারা ভালোভাবেই কাটিয়ে দিলেন। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রান উঠলো ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনও ৩০২ রান পিছিয়ে রয়েছে টাইগাররা।
৪৮১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা যে কতটা কঠিন, সেটা সম্ভবত এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছাড়া আর কেউ অনুধাবন করতে পারছে না। তবুও দৃঢ়তা দেখিয়েছে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সাদমান ইসলাম। দু’জনের ব্যাটে গড়ে উঠেছিল ৮৮ রানের দারুণ এক জুটি। কিন্তু হ্যামিল্টনের সেডন পার্কের উইকেট যেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামনে এক অপার রহস্য নিয়ে হাজির হয়েছে। যে উইকেটে অনায়াসে ব্যাট চালিয়ে গেছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য এই উইকেট যেন টোটালি আনপ্লেয়েবল।
ট্রেন্ট বোল্ট, নেইল ওয়াগনার কিংবা টিম সাউদিদের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বড়ই অসহায়। ৮৮ রানের ওপেনিং জুটির পর ১১০ রানে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ওপেনারদের দৃঢ়তার পর বলতে গেলে দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়েই পড়েছে টাইগাররা। এখন ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারলেই যেন বাঁচে তারা। ৩৭ রান করার পর নেইল ওয়াগনারের বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাদমান ইসলাম। ভেঙে যায় ওপেনিং জুটি। মাঠে নামেন মুমিনুল হক। আগের ইনিংসের মত এই ইনিংসেও দিলেন ব্যর্থতার পরিচয়। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১২ রান। এবার করলেন ৬ বলে ৮ রান। উইকেটে টিকলেন কেবল ৭ মিনিট। বোল্টের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
প্রথম ইনিংসে ৮ রান করেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। এবার সাদমান আর মুমিনুল দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার পর মিঠুনের প্রয়োজন ছিল একটু ধৈয্য ধরে খেলার। কিন্তু উইকেটে টিকলেন ৯ মিনিট। খেললেন চার বল। কোনো রানই করতে পারলেন না। ফিরে গেলেন শূন্য রানে। সৌম্য সরকারকে নিয়ে তামিম ইকবাল জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটা খুব বেশিদুর গেলো না। মাত্র ১৬ রানের জুটি হলো। এরপরই টিম সাউদির বলে দুর্ভাগ্যের শিকার হন তামিম। বাউন্সার হয়ে আসা বলটাকে একটু পেছনে সরে ডাক করতে চেয়েছিলেন তামিম। কিন্তু পারেননি, পড়ে যান তিনি। েএ সময় ব্যাট উঠে যায় উপরে। সেই ব্যাটেই বল ছুঁয়ে চলে গেলো উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংয়ের হাতে। ৮৬ বলে ৭৪ রান করে আউট হন তামিম। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪। ৫১ বলে ৩৯ রান করে সৌম্য সরকার এবং ৪০ বলে ১৫ রান করে উইকেটে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।