নির্বাচন কমিশন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকায় যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করতে চায় এবং এ বিষয়ে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, “সংস্কার কমিশন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছে, কারণ তারা তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেওয়ার আগে আমাদের মতামত জানতে চেয়েছে। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে যেসব বিষয় প্রাসঙ্গিক মনে করেছি, সেগুলো তুলে ধরেছি। বিশেষ করে ডেলিমেটেশন (সীমা পুনর্নির্ধারণ) এবং ভোটার তালিকার বিষয়ে কিছু সুপারিশ করেছি।”
সিইসি আরও বলেন, “যুবকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলে এই প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো আমরা জানিয়েছি। সংস্কার কমিশন তা সুপারিশ করুক বা না করুক, আমাদের এগুলো সমাধান করতেই হবে। কারণ ডেলিমেটেশন এবং ভোটার তালিকা আপডেট না করলে সঠিকভাবে নির্বাচন প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়।”
সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, “সংস্কার প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে জমা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে যদি দেরি হয়, জানুয়ারির ৩ তারিখের মধ্যে এটি জমা দেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছি তাদের কোনো সুপারিশ বা প্রস্তাব আছে কি না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তাদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ।”
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন আয়োজনের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সময়সীমা চাইলেও এটি বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ন্যূনতম সংস্কার সম্পন্ন হলে নতুন বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন হতে পারে। আর সংস্কারের পরিধি বৃহত্তর হলে ২০২৫ সালের জুন মাস নাগাদ সময় লাগতে পারে।
সিইসি বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের আলোকে নির্বাচন প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।