সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বাটুলা নদীতে ধরা পড়েছে ৩২ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের বিরল প্রজাতির একটি জাবা ভোলা মাছ। মাছটি স্থানীয় মৎস্য আড়তে তিন লাখ ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এই বিশাল মাছটি ধরা পড়ার পর থেকেই এলাকাজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার জেলে দেলোয়ার হোসেন মাছটি স্থানীয় মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। পরে আবু মুসা নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী মাছটি কিনে নেন।
জেলে দেলোয়ার হোসেন বলেন, “সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাতক স্টেশন থেকে অনুমতি নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাটুলা নদীতে জাল ফেললে এতে বিশাল আকারের জাবা ভোলা মাছ ধরা পড়ে। এত বড় মাছ ধরা পড়ায় আমি এবং আমার সঙ্গীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ি।”
মাছটি বিক্রি করে এত বড় অঙ্কের টাকা পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি বলেও জানান।
জানা যায়, জাবা ভোলা মাছের ফুলকো বা পটকা (বায়ুথলি) জীবনরক্ষাকারী ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এ কারণেই এ মাছের এত চাহিদা এবং চড়া মূল্য। আন্তর্জাতিক বাজারেও এই মাছের দাম অত্যন্ত বেশি।
মৎস্য ব্যবসায়ী আবু মুসা বলেন, “জাবা ভোলা মাছের বায়ুথলি অত্যন্ত মূল্যবান। এ ধরনের মাছ খুব কম ধরা পড়ে। স্থানীয় বাজারে চাহিদার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও এর চাহিদা রয়েছে। এজন্যই মাছটির এত দাম।”
স্থানীয় মৎস্য বিশেষজ্ঞরা জানান, জাবা ভোলা মাছ একদিকে যেমন বিরল প্রজাতির, অন্যদিকে এর শারীরিক অংশের ঔষধি গুণাগুণের কারণে এটি অত্যন্ত মূল্যবান।
সুন্দরবনের এ অঞ্চলে বড় আকারের মাছ পাওয়ার ঘটনা মাঝে মাঝে শোনা যায়, তবে ৩২ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের এমন মাছ ধরা পড়া বিরল। মাছটি ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
বায়ুথলি ছাড়াও এ মাছের অন্যান্য অংশের ব্যবহার এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে মৎস্য গবেষকরা বলছেন, এ ধরনের মূল্যবান মাছ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।