সিরাজগঞ্জসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে চলছে মৌসুমের প্রথম শৈত্য প্রবাহ। ঘন কুয়াশা এবং শীতল বাতাসের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা যানবাহনগুলোর হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে, যা শীতের তীব্রতা এবং ঘন কুয়াশার প্রভাবকে আরও প্রকট করে তুলছে।
শীত আসতেই সিরাজগঞ্জ শহরে শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়ে গেছে। বিশেষ করে, নিম্ন আয়ের মানুষরা কম মূল্যে শীতের পোশাক কিনতে রাস্তাঘাটে বসা অস্থায়ী দোকানগুলোর দিকে ঝুঁকছে। এসব দোকানে পুরানো এবং কম দামি শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। তবে, শহরের নামকরা বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের সংখ্যা কিছুটা কম, কারণ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা এর প্রধান কারণ।
শহরের বিভিন্ন প্রধান এলাকায় শীতবস্ত্র বিক্রি করা অস্থায়ী দোকানগুলোর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত স্টেশন বাজার, কড়িতলা মোড়, এসএস রোড, চৌরাস্তা মোড়, স্টেডিয়াম মার্কেট, কোর্ট চত্বর, ধানবান্ধি ব্রিজ এবং কালিবাড়ীসহ জনসমাগমের স্থানে এসব দোকান চোখে পড়ছে। এসব দোকানে শীতবস্ত্রের ভিড় উপচে পড়ছে। এখানকার শীতবস্ত্রের মূল্যের তুলনায় গুণগত মান বেশ ভালো, যা দরিদ্র জনগণের জন্য সাশ্রয়ী।
তবে, শুধু স্থায়ী দোকানগুলোতে নয়, ভ্রাম্যমাণ অটোরিকশা বা ভ্যানগাড়িতেও শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে। এসব দোকানে পুরানো শীতবস্ত্র পাওয়া যায় এবং এগুলো সাধ্যের মধ্যে থাকে, যার কারণে ক্রেতাদের কাছে তা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিক্রেতাদের মতে, প্রচণ্ড শীতের কারণে তাদের বেচাকেনা বেড়েছে এবং তারা বেশ খুশি। অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, এ ধরনের কম মূল্যের শীতবস্ত্র তাদের কাছে খুবই উপকারী, কারণ তারা সাধ্যের মধ্যে শীতের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারছেন।
অতএব, এই সময়ে মানুষের শীতের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব সস্তা শীতবস্ত্রের দোকানগুলো। সাধারণ মানুষের আশায়, এ ধরনের শীতবস্ত্র আরও সুলভ মূল্যে পাওয়ার সুযোগ যেন সবার জন্য থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।