ইবি ক্যাম্পাস সংস্কারে ছাত্রশিবিরের ১১০ দফা প্রস্তাবনা উপাচার্য বরাবর হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: শনিবার ৩০শে নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
ইবি ক্যাম্পাস সংস্কারে ছাত্রশিবিরের ১১০ দফা প্রস্তাবনা উপাচার্য বরাবর হস্তান্তর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাস সংস্কার ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে ১১০ দফা প্রস্তাবনা উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর পেশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইবি শাখা। এই প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, একাডেমিক কার্যক্রমে উৎকর্ষতা, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুবিধা বৃদ্ধি, এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশ উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এইচ এম আবু মুসা ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান উপস্থিত থেকে উপাচার্যের কাছে তাদের প্রস্তাবনা হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে বেলা ১:৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি-তে এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রস্তাবনার বিস্তারিত তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।

ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের ১১০ দফা প্রস্তাবনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দাবি হলো:

  • ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা এবং মাদকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা।
  • মধ্যাহ্নভোজ এবং ক্যাফেটেরিয়া সেবা চালু করা।
  • কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের আধুনিকায়ন এবং গবেষণা বৃদ্ধি।
  • আবাসিক হলগুলোর সুবিধা বৃদ্ধি এবং হলের নাম পরিবর্তন।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি রক্ষা।
  • ধর্মীয় উপাসনালয় এবং চিকিৎসা সেবা উন্নয়ন।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবার মান বৃদ্ধি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করা।
  • গ্রিন ক্যাম্পাস এবং ক্লিন ক্যাম্পাস গড়ে তোলা।

এছাড়া, ছাত্রকল্যাণ ফান্ড, মরণব্যাধি নিরাময় তহবিল এবং শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্রীড়া সুবিধার উন্নয়নেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে জানান, "আমরা শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে প্রস্তাবনা তৈরি করেছি এবং এগুলোর বাস্তবায়নে আমরা উপাচার্যের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।" তিনি আরও বলেন, "ইকসু নির্বাচনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, কারণ ইকসু ভিপি সিন্ডিকেট সভার সদস্য হিসেবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষা করতে সক্ষম হবেন।"

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, "তাদের প্রস্তাবনাগুলো যৌক্তিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য সহায়ক হবে। আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রস্তাবনার ওপর কাজ শুরু করেছি এবং বাকিগুলোও বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হবে।"

এ সময় উপাচার্য আরো বলেন, "আমরা প্রতিটি বিভাগের সভাপতি এবং ডিনদের নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ক্লাস পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নের জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নতুন উদ্যোগ নেয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত।"

এ প্রস্তাবনাগুলোর বাস্তবায়ন হলে, ইবি ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।