তামিম ইকবালের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা ও জটিলতা যেনো কিছুতেই কাটছে না। এই ফরম্যাট থেকে আপাতত ছয় মাসের বিশ্রামে রয়েছেন তামিম। তাই তাকে ছাড়াই কুড়ি ওভারের দল সাজাচ্ছে বাংলাদেশ।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, বিশ্রামের ছয় মাস শেষ হওয়ার পর কী করবেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক? এই বিশ্রাম পর্ব শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয়ে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তোড়জোড়। বিশ্রাম থেকে ফিরেই কি বিশ্বকাপ দলে ঢুকে যাবেন তামিম? নাকি ভিন্ন ভাবনা আছে কোনো?
এর সদুত্তর মেলেনি কারও কাছ থেকে। বিসিবির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, তামিম নিজেই জানাবেন নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে। আর সবশেষ তামিম জানালেন, টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথাই হয়নি তার। এ বিষয়ে অস্ফুট ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তামিম।
রোববার সংবাদ মাধ্যমে তামিম বলছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টি নিয়ে যে পরিকল্পনা আমার, আমাকে তো বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। আমার মনে হয় এতটুক আমি ডিজার্ভ করি যে আমি কি চিন্তা করি না চিন্তা করি এটা আমার মুখ থেকে শোনা।’তামিমের এ বক্তব্যকে মিথ্যা বলছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে পাপন জানিয়েছেন, তামিমের সঙ্গে অন্তত চারবার টি-টোয়েন্টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তারা।
পাপন বলেছেন, ‘এটি পুরোপুরি মিথ্যা (যে আমরা তার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি নিয়ে কথা বলিনি)। আমি ওকে অন্তত চারবার বাসায় ডেকেছি এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে অনুরোধ করেছি। বোর্ডের অন্যরাও এ বিষয়ে ওর সঙ্গে কথা বলেছে। এখন দেখুন ও কী বলছে!’তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনেকবার অনুরোধের পরও সে আমাদের লিখিত দিয়েছে যে এখন (টি-টোয়েন্টি) খেলতে চায় না। আমি বুঝতে পারছি না এখানে কনফিউশন আসলে কোথায়। আমি বলতে চাচ্ছি, ও কী বলতে চায় বলতে দিন। এরপর আমরা আমাদের হাতে থাকা প্রমাণ দেখাবো।’
আপাতত তামিমের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হলেও, তাকে যেকোনো সময় এই ফরম্যাটে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পাপন, ‘আমরা তাকে টি-টোয়েন্টিতে দেখতে চাই। সে কি খেলবে? সে কি বিশ্বকাপ খেলতে চায়? যদি চায় তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে খেলতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।