সড়ক পরিবহন খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হলে, প্রথমেই প্রশ্ন উঠে আসে—এখন এই খাতের নিয়ন্ত্রণে কারা? সরকারের পতনের পর সাবেক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জায়গায় পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন নতুন এক গোষ্ঠী। অনুসন্ধান এবং অভিযোগ দুটোই এই পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করছে।
জানা গেছে, পরিবহন খাতে নতুন নিয়ন্ত্রকরা বিভিন্ন মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও অবৈধ আদায় শুরু করেছে। ভাড়া বৃদ্ধি, লাইসেন্স সংগ্রহ এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সংগঠনগুলো এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, সরকার পতনের পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি কার্যক্রম চলছে, যা পরিবহন সেক্টরের জন্য এক নতুন বিপদের সৃষ্টি করছে। কিছু শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, তারা নির্যাতিত হচ্ছেন এবং তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রশাসনিক উদাসীনতা ও দুর্নীতির কারণে খাতটির বিকাশ থমকে গেছে।
এছাড়া, পরিবহন মালিকদের অভিযোগ, নতুন নিয়ন্ত্রকদের কারণে তারা অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ অবস্থায় পরিবহন খাতের কর্মরতরা নিজেদের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ শুরু করেছেন। শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সমন্বয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, সড়ক পরিবহন খাতে যে নিয়ন্ত্রণ পরিবর্তন হচ্ছে, তা দেশের অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি না হলে এই খাতের অব্যবস্থাপনা আরও গভীর হবে। সরকারের উচিত এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
পরিবহন খাতের এই চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায়, দেশের পরিবহন ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে পারে। এই সংকট মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন, যাতে সড়ক পরিবহন খাত আবার স্বস্তির পথে ফিরতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।