আগামী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করে যে কেউ গাড়ির নিলামে অংশ নিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার নামের তালিকা ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে, এবং এরপর গাড়িগুলো বিক্রি করা হবে।
মোংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আমদানি করা গাড়িগুলো সাধারণত ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও, বিভিন্ন কারণে অনেক আমদানিকারক এখনও এসব গাড়ি ছাড়িয়ে নেননি। কাস্টমসের নিয়ম অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি ছাড় না হওয়ায় সেগুলো নিলামে উঠানো হচ্ছে।
মোংলা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার মো. রুবেল হাসান বলেন, “নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে রয়েছে হাইয়েস, ডাম্প ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন প্রকারের গাড়ি।” তিনি আরও জানান, পূর্ববর্তী নিলামে ১৮ আগস্ট ১৯টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছিল। ওই সময়ের নিলামে ছিল নিশান, পাজেরো, এক্সিও, হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, অ্যাকোয়া হাইব্রিড, মাইক্রোবাস, এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি। এর মধ্যে ১০টি গাড়ির বিক্রয় আদেশ দেওয়া হয়।
নতুন নিলামটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, কারণ এটি তাদের জন্য অনাবাসিক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজস্ব বৃদ্ধি করার সুযোগ দেয়। অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজতর করায় আগ্রহী দরদাতাদের জন্য অংশগ্রহণ আরও সহজ হবে।
এখন দেখার বিষয়, আসন্ন নিলামে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিক্রিয়া কেমন হয় এবং কত জন এতে আগ্রহী হন। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আশা করছে, নিলামের মাধ্যমে অব্যবহৃত গাড়িগুলো বিক্রি করা যাবে এবং এর ফলে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের নিলাম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের উন্নয়নে সহায়ক হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।