ডেথ ওভার বোলিংয়ে পরিকল্পনার অভাব ছিল বাংলাদেশের। ডট বল দেয়ার চেয়ে উইকেট পাওয়ার জন্য বল করেছেন বোলাররা। এটাই ম্যাচ হারার কারণ বলে, মন্তব্য করেছেন সাবেক ক্রিকেটার তারেক আজিজ খান। মাঠে সাকিবের অধিনায়কত্বও সময়োপযোগী ছিল না বলে মত তার। ফিল্ডিং এবং রিভিউ নেয়ার ক্ষেত্রে দূরদর্শিতা দেখাতে পারেনি ক্রিকেটাররা। তাছাড়া টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা ছিল দ্বিধান্বিত। এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক ওপেনার জাবেদ ওমর বেলিম।
আমূল পরিবর্তন আর প্রত্যাশার ফুলঝুরি নিয়ে এশিয়া কাপে গেলেও, টাইগারদের স্বপ্নের সমাপ্তি গ্রুপ পর্বেই। আফগানিস্তান আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর কী ব্যাখ্যা আছে টিম ম্যানেজমেন্টের? কেন বারবার শেষ মুহূর্তে বেদনার গল্পটা বাংলাদেশেরই হবে? কোচ, অধিনায়ক পরিবর্তন করেও সেই একই বৃত্তে বন্দি বাংলাদেশ।
সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান বলেন, ‘আমাদের আরও দক্ষ হতে হবে। কারণ আমরা যে ভুলগুলো করি, অন্য দলগুলো সেটা অনেক কম করে। ওয়াইড, নো-সহ অতিরিক্ত রান আমরা যত কম দেব, ততো ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা বাড়বে।’
টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিংয়ের যে আক্ষেপ ছিল তা হয়তো মিটিয়েছেন ব্যাটাররা। কিন্তু বোলিংয়ে দিশেহারা বাংলাদেশ। সবচেয়ে বড় সমস্যা ডেথ ওভার। যেখানে পরিকল্পনার অভাব দেখছেন সাবেকরা।
সাবেক ক্রিকেটার তারেক আজিজ খান বলেন, ‘আক্রমণাত্মক এবং রক্ষণাত্মক দুই অবস্থা-ই বোলারকে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা যখন আক্রমণাত্মক ছিল, তখন আমাদের বোলিং আক্রমণ কেমন হওয়া ছিল, কী কৌশল হওয়া ছিল, সে সব জায়গায় আমরা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারিনি। সব সময় উইকেট নেয়ার চিন্তায় ছিল। টি-টোয়েন্টিতে ডট বল দেয়া যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আমরা ম্যাচ হেরে বুঝেছি।’
তিনি যোগ করেন, ‘মাঠে অধিনায়কের একটা নিজস্ব মতামত থাকে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমার মনে হয়েছে কিছু কিছু জায়গায় আরেকটু স্মার্ট হওয়া উচিত ছিল।’
প্রশ্ন উঠেছে সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্ব নিয়েও। শেষ ওভারে শেখ মেহেদীকে নিয়ে আসা। মাঠে বেশ কিছু সিদ্ধান্তই ভুগিয়েছে দলকে? সাবেকরা বলছেন, শুধু অধিনায়কত্ব নয়, টিম ম্যানেজমেন্টও দ্বিধান্বিত ছিলেন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে।
সন্দেহ থাকলেও কুশাল মেন্ডিসের রিভিউ নেয়া উচিত ছিল জানিয়ে বাংলাদেশ দলের সাবেক ওপেনার জাবেদ ওমর বেলিম বলেন, ‘ওই জায়গায়টায় ব্যাটার সেট হয়েছে, মারছে; সন্দেহ থাকলেও রিভিউটা নেয়া উচিত ছিল। রিভিউ কোন ব্যাটারের বিপক্ষে নিব, কখন নেব? সেটাও আমাদের বুঝতে হবে। দুইটা রিভিউ ছিল। একটা হারালেও তো সমস্যা ছিল না।’
টিম ম্যানেজমেন্টের সমালোচনা করে জাবেদ বলেন, ‘প্রথমে নিয়ে গেলাম দু’জন ওপেনার। পরে একজনকে উড়িয়ে নিয়ে গেলাম। যারা নীতি নির্ধারক তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনো রকম সংশয় ছাড়া। মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম-সহ আশে পাশে যখন কথা হয় আমরা গড়মিল পাকিয়ে ফেলি। এমনটা হওয়া উচিত না। মাঠে ক্রিকেটাররা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারে। কিন্তু মাঠের বাইরে নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা যাবে না।’
এশিয়া কাপে যে ভুলগুলো সামনে এসেছে তা আমলে নিয়ে প্রতিটি জায়গায় কাজ করতে হবে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে। তবেই অস্ট্রেলিয়ায় ইতিবাচক কিছু হতে পারে বলে মত তাদের।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।