১৩ কর্মীর জ্বর-সর্দি-কাশি, ইসলামী ব্যাংক লকডাউন
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের নীলফামারীর সৈয়দপুর শাখার ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর একসঙ্গে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা দেখা দিয়েছে। তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন—এমন সন্দেহে পুরো শাখার কার্যক্রম বন্ধ করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে শাখা ব্যবস্থাপক এ সংক্রান্ত নোটিশ ব্যাংকের গেটে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংক লডকাউন থাকবে। সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ওই শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জ্বরে আক্রান্ত হয়। কোনওভাবে তাদের জ্বর কমছিল না। জ্বরের সঙ্গে সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথাও দেখা দেয় অনেকের। ফলে পরিস্থিতি সন্দেহজনক হওয়ায় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল হক বিষয়টি লিখিতভাবে সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন।
এরই প্রেক্ষিতে ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ আপাতত সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ করে লকডাউন করার নির্দেশ দেওয়ায় সে অনুযায়ী নোটিশ প্রদান করা হয়। এদিকে, সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জ্বর সর্দি-কাশিতে আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে।
শাখা ব্যবস্থাপক বলেন, বিগত কয়েকদিন যাবত আমাদের কয়েকজন কর্মী জ্বর-সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। আজ তাদের কয়েকজনের গলা ব্যথার লক্ষণও প্রকাশ পেয়েছে। করোনা আক্রান্ত সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সে অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শাখায় নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড এ কর্মরত চীনা ও ইতালিয়ানরা লেনদেন করেন। তারা এখানে এসে কোনও নিয়ম মানতে চান না। সম্ভবত তাদের মাধ্যমেই করোনার সংক্রমণ হতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলিমুল বাশার জানান, ইসলামী ব্যাংকের একটি আবেদন পেয়েছি। সে অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তাদের (কর্মকর্তা-কর্মচারীদের) নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।